সুনীত হালদার, হাওড়া: সরকারি আবাস যোজনার (Awas Yojana) উপভোক্তার তালিকায় কোথাও তৃণমূল (TMC) পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষের মা ও ছেলের নাম। কোথাও আবার নাম রয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্ত্রী, বাবা ভাইয়ের। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা যাচাই করতে গিয়ে, বিভিন্ন জায়গা থেকে উঠে আসছে ভুরি ভুরি দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ। সেই তালিকায় এবার নতুন সংযোজন।
২৫ বছর আগে মৃত্যু হয়েছে, এমন এক ব্য়ক্তির নামও এবার ঢুকল আবাস যোজনার তালিকায়। ১৯৯৭ সালে মৃত্যু হয়েছে, হাওড়ার ডেমজুড়ের সলপ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা, শৈলেন্দ্রনাথ দাসের। অথচ আবাস যোজনার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর নাম।
আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, ওই পরিবার সলপ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের, তৃণমূল সদস্যার আত্মীয়। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। তবে তৃণমূল সদস্য দীপিকা ধারা বলেন, "ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন যখন তারা আবেদন করেছিলেন তখন তিনি পঞ্চায়েতের সদস্য ছিল না। পরে জানতে পেরেছেন এবং পঞ্চায়েতকেও গোটা ঘটনাটা জানান। তালিকা থেকে যাতে তার নাম বাতিল করা হয় তার জন্য তিনি সুপারিশ করেছেন।"
আরও পড়ুন, "ছেলেরা না খেলে, খাবার আমার গলা দিয়ে নামে না", জেনে নেওয়া যাক মায়ের এক স্বল্পশ্রুত কাহিনী
বিতর্কের মধ্যে এই বিষয়টি নিয়ে আজব সাফাই দিয়েছেন মৃতের মেয়ে। তিনি বলেন, "আমাদের জমিতে ভীম সেনাপতি ও শোভা সেনাপতিকে থাকতে দিয়েছিলেন তার বাবা। তারাই পঞ্চায়েতে তাদের হয়ে আবেদন করেন। তারা জানতেন না তার বাবার হয়ে তারা আবেদন করেছে। পরে জানতে পারেন তার বাবার নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রয়েছে। আশা কর্মীরা তাদের বাড়িতে সমীক্ষা করতে এলে তাদেরকে গোটা ঘটনা জানানো হয়।
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং সলপের তৃণমূল নেত্রী কেয়া নস্কর বলেন, "পুরনো সমীক্ষা সময় হয়তো দেখা গেছিল, তিনি পাওয়ার যোগ্য। তাই তালিকায় নাম এসেছিল। বর্তমানে ফের আশা কর্মী এবং আইসিডিএস কর্মীদের দিয়ে সমীক্ষা করা হচ্ছে। যদি পাকা বাড়ি থাকে তবে তার নাম বাতিল করা হবে।"
আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে রোজই সামনে আসছে কারচুপির নতুন নতুন অভিযোগ। সেই তালিকা এবার আরও লম্বা হল।