সুনীত হালদার, হাওড়া: ভাড়াটে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে হাওড়ার জগাছায় তুলকালাম। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি ঘর। পাল্টা বুলডোজারে আগুন। উচ্ছেদে বাড়িওয়ালার সঙ্গে মদত রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার, অভিযোগ ভাড়াটেদের। মানতে নারাজ শাসক নেতা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।


ভাড়াটে তুলতে মধ্যরাতে তাণ্ডব! বাঁশ হাতে দাপাদাপি। বাড়ির চাল ভাঙার চেষ্টা। বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল একের পর এক ঘর। পাল্টা আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বুলডোজারে। ভাড়াটে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে এভাবেই অশান্ত হয়ে ওঠে হাওড়ার জগাছা থানার উনসানি ষষ্ঠীতলা।


ভাড়াটেদের অভিযোগ, শুক্রবার মধ্যরাতে ২৫-৩০ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাড়িতে হামলা চালায়। ঘর থেকে টেনে বের করা হয় ৬টি পরিবারের সদস্যদের। এরপর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৬টি ঘর। বাধা দেওয়ায় দুষ্কৃতীরা শূন্যে ২ রাউন্ড গুলিও ছোড়ে বলে অভিযোগ। 


চোখের সামনেই ঘর ভেঙে দেওয়ায় পাল্টা মারমুখী হয়ে ওঠে ভাড়াটেরা। তাঁদের বিরুদ্ধে বুলডোজারে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ভাড়াটেদের আরও অভিযোগ, এই উচ্ছেদে বাড়িওয়ালার সঙ্গে মদত রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা তৈবুর রহমান দর্জির। এই অভিযোগ মানতে রাজি নয় ওই তৃণমূল নেতা। ভাড়াটে উচ্ছেদ নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর। 



জমির মালিক সফিকুল রহমান দর্জির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভাড়াটিয়ারা। এদিন জমির মালিকের বাড়িতেও যায় পুলিশ। যদিও তখন তিনি বাড়িতে ছিলেন না।


উল্লেখ্য, গতকাল মিশনে রাঁধুনীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে নিউ টাউনে। রামকৃষ্ণ সেবা মিশনের মহারাজদের উপর চড়াও হলেন এলাকাবাসীরা। উঠেছে মারধরের অভিযোগও। লাঠিচার্জ করে বিক্ষুব্ধদের সরিয়ে দেয় পুলিশ।                     


একজনের মৃত্যু ঘিরে রহস্য। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার ধুন্ধুমারকাণ্ড ঘটে গেল নিউটাউনের নতুন পুকুর এলাকায়। আশ্রমের মহারাজদের উপর চড়াও হলেন এলাকাবাসীরা। পুলিশকে ঘিরে চলল বিক্ষোভ!!পাল্টা বেধড়ক লাঠি চালাল পুলিশও।নিউটাউনের নতুন পুকুর এলাকায় রয়েছে রামকৃষ্ণ সেবা মিশন। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে আশ্রমের ঘর থেকে উদ্ধার হয়, ৩৭ বছরের রোহিত হালদারের ঝুলন্ত দেহ। 


তিনি আশ্রমের রাঁধুনী ছিলেন। বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুরে। মৃত্যুর খবর চাউর হতেই, রামকৃষ্ণ সেবা মিশনের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসীরা। গেট খুলে ভিতরে ঢুকে পড়েন তাঁরা। আশ্রমে কর্মীদের উপর অত্যাচার করা হয়, এই অভিযোগে আশ্রমের মহারাজের উপরেও চড়াও হন বিক্ষোভকারীরা। এক মহারাজ কার্যত ধাক্কা মারতে মারতে বের করে দেওয়া হয়।