ভাস্কর ঘোষ, রাজচন্দ্রপুর:  চায়ের দোকানে (Tea Shop) গ্যাস সিলিন্ডারে (LPG Cylinder) আগুন। আর সেই আগুন  (Fire) ছড়িয়ে পড়ল নর্দমাতেও (Drain)। রাজচন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশন (Rajchandrapur railway station) সংলগ্ন এলাকায়  ঘটনা ঘিরে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক (Panic)। চায়ের দোকানদার গ্যাস সিলিন্ডারটি পাশের নর্দমায় ছুড়ে ফেলার পর এই ঘটনা ঘটল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আধ ঘণ্টায় চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে দমকল। 
জানা গেছে, শিয়ালদা-ডানকুনি শাখার এই  রেল স্টেশনের বাইরে  প্রতিদিনের মতো আজও চায়ের দোকান সামলাচ্ছিলেন  হারু রায় নামে এক বিক্রেতা।  নিশ্চিন্দা থানা এলাকার রাজচন্দ্রপুর রেলওয়ে স্টেশন টিকিট কাউন্টারের সামনে হারু রায় নামে এক ব্যক্তির চায়ের দোকান।  আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁর চায়ের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগে। বিপদ বুঝতে পেরে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে দোকানদার জ্বলন্ত গ্যাস সিলিন্ডারটি পাশের নর্দমায় ফেলে দেন। 


কিন্তু এতেও বিপদ কাটেনি।  সিলিন্ডার নর্দমায় ছুড়ে ফেলার পর অন্য ঘটনা ঘটতে শুরু করে।  নর্দমার জলে বাহিত গ্যাসের আগুন বিভিন্ন জায়গায় জ্বলতে থাকে। প্রায় চার থেকে পাঁচটি নর্দমার মুখ থেকে আগুনের হল্কা বেরোতে থাকে। এভাবে আগুন জ্বলতে থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা ।  তাঁরা দমকলে খবর দেন। দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভায়। এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই।  তবে সাপ্তাহিক লকডাউনে ওই চায়ের দোকানটি কী করে খোলা থাকে সে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


উল্লেখ্য, বিড়ির আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে খড়্গপুরে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরের তালবাগিচা এলাকায়। মৃত ব্যক্তি অসুস্থ ছিলেন।  কিন্তু ছিলেন চেইন স্মোকার। প্রচুর বিড়ি খেতেন। কিন্তু বাড়িতেই এই বিড়ি একদিন তার প্রাণ কেড়ে নেবে তা এক বিন্দুও টের পাননি সনৎ চক্রবর্তী। রাতে ঘুমানোর সময় বিড়ি খেয়ে ফেলে দেযন। আর সেই বিড়ির আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় সনৎ বাবুর। তাঁর বয়স ৫৯ । ঘটনার খবর পেয়ে এলাকার বাসিন্দা এবং খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ গিয়ে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয়।