সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়া ময়দানের (Howrah Fire Incident) কাছে ফাঁসিতলায় একটি চায়ের দোকানে আগুন। মূলত একেই আজ রবিবার, ছুটির দিন। শীতের সকালে হাওড়ার চায়ের দোকানে, গল্পের মেজাজে সবে চায়ে চুমুক দিয়েছেন খদ্দেররা, তারপরেই অঘটন হাওড়ার ওই চায়ের দোকানে।


রবিবার সকালে যখন খদ্দেররা চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন তখন হঠাৎ আগুন ধরে যায়। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে দোকানটি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে আসেন। তারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও আগুন আয়ত্তে আসেনি। দমকলের খবর দেওয়া হলে একে একে দুটো ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই মুহূর্তে দমকল কর্মীরা আগুন নেভানোর কাজ করছেন। কী কারণে আগুন লেগেছে ? তা এখনও স্পষ্ট নয়।


সম্প্রতি হাওড়া ঘুসুড়িতে প্লাস্টিকের গুদামেও ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল।  ফোরশোর রোডের বিজয়শ্রী জুটমিলের গুদামে আগুন লেগেছিল।  দমকল সূত্রে খবর এসেছিল,  প্রচুর পরিমাণে পাট মজুত থাকায় দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে দিয়েছিল গুদাম। দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল আগুন। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল পার্শ্ববর্তী এলাকায়।  দমকলের ২টি ইঞ্জিন ঘণ্টাদেড়েক লড়াই চালায়। তারপর  আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল বলে খবর। আর এবার ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটল।


মূলত কারখানা, গোডাউন, শোরুমে আগুন লাগার ঘটনা বাদ দিলে বহুতলে আগুন লাগার ঘটনাও কম নেই। কারখানায় দাহ্য পদার্থ যদি কারণ হয়ে থাকে, শহরের একাধিক বাড়িতেও আগুন লাগার অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রধান খলনায়ক কারেন্টের তার অর্থাৎ শর্টসার্কিট এবং গ্যাস সিলিন্ডার  বাস্ট করে আগুন। অমৃতসরের ওষুধের কারখানাতেও বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা ঘটেছিল।ওই ঘটনায় একাধিক জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, এই কারখানায় প্রায় ১৬০০ শ্রমিক কাজ করে। কারখানায় রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম মজুত থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের। ৮ ঘণ্টার লাগাতার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।


চলতি বছরের অগাস্ট মাসে পশ্চিমবঙ্গের বউবাজার এলাকার বহুতলে আগুন লেগেছিল। তবে এক্ষেত্রে কারণটা ছিল ব্যাতিক্রমী। মূলত ওই বহুতলের বেসমেন্টে রাসায়নিকের গুদাম ছিল। সেখানেই আগুন লাগতে উপরের তলার ফ্ল্যাটের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল আতঙ্ক। সঙ্কীর্ণ রাস্তায় আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছিল দমকল।


আরও পড়ুন, পেট্রোলের দাম বাড়ল আগ্রা-সহ একাধিক শহরে, আজ কলকাতায় জ্বালানির দর কত ?


 কলকাতায় (Kolkata) এই বহুতলটির বেসমেন্টে রয়েছে মূলত রাসায়নিকের গুদাম। উপরের তলায় আবাসন, সেখানে আবাসিকরা রয়েছেন। সাততলা ভবনে বেসমেন্টে রয়েছে গুদাম। সেখানে রয়েছে রাসায়নিকের ড্রাম। সেখানেই একের পর এক বিস্ফোরণ (Exploitation) ঘটেছিল। প্রথমে সেখানে ঢুকতে পারছিলেন না দমকলকর্মীরা। ওই বেসমেন্টে ঢোকার ও বেরনোর পথ একটিই। সেটি বন্ধ ছিল। পিছনের একটি গেট কেটে আপাতত ব্যবস্থা করা হয়েছিল।