সুনীত হালদার, হাওড়া: শুকনো মরসুমের সময় নদীতে জল কম থাকে। কিন্তু এখন ঘোর বর্ষা। নদীতে জলের স্রোত। তারপরেও চরার বিপদ কাটল না। নদীর চরে ধাক্কা দিয়ে আটকে গেল পণ্যবাহী জাহাজ, তার ধাক্কায় ভাঙল বাঁধও। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার গড়চুমুকে। 


হাওড়ার পরিচিত পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক। সেখানেই নদীপথ দিয়ে পণ্যবাহী জাহাজ যাতায়াত করে। এদিন ওই নদীপথ দিয়েই কলকাতার দিকে যাচ্ছিল একটি পণ্যবাহী জাহাজ। ঠিক তখনই উল্টোদিক থেকে আসছিল একটি জাহাজ। কলকাতা থেকে হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল ওই জাহজটি। মুখোমুখি ২টি জাহাজ চলে আসায়, হলদিয়ামুখী জাহাজটিকে পাশ দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রের নদীর চরে ধাক্কা মারে কলকাতার দিকে যাওয়া জাহাজটি। নদীর চরে আটকে পড়ে পণ্যবাহী জাহাজটি। এদিন সকাল ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটে। তারপর থেকে সেখানেই আটকে পড়েছে জাহাজটি। বিপদ রয়েছে আরও। কারণ ওই জাহাজটি সেখানে বাঁধেও ধাক্কা মেরেছে। তার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাঁধ, বর্ষার সময় এমন ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কলকাতা বন্দরের সিনিয়র জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্টিয়ারিং আটকে যাওয়ার কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানানো হয়েছে। 


এখন কী অবস্থা?
 একটি পণ্যবাহী বিদেশি জাহাজ MTT Singapore মালয়েশিয়ার Kelong বন্দর থেকে  কলকাতার Netaji Subhash Dock আসছিল। সেই সময় আরও একটি পণ্যবাহী জাহাজ কলকাতা বন্দর থেকে হলদিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। হলদিয়াগামী জাহাজটিকে জায়গা ছেড়ে দিতে গেলে বিদেশি জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। সরাসরি ধাক্কা মারে বাঁধে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁধ।


এখন ভাঁটা চলছে ফলে কোনওভাবেই সেখান থেকে জাহাজ সরানো যাবে না বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জাহাজটিকে ঘটনাস্থল থেকে সরানোর জন্য কলকাতা বন্দর এবং হলদিয়া বন্দর থেকে দুটি বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানো হয়েছে। তারা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের সূত্রের খবর, জোয়ার এলে কাজ শুরু হবে, মধ্যরাত নাগাদ জোয়ার সবচেয়ে বেশি থাকবে, সেই সময়েই জাহাজটিকে ফের ভাসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই জাহাজে ৩৩৮টি কন্টেইনার রয়েছে। জাহাজে একজন মাস্টার এবং কুড়িজন কর্মী রয়েছেন। সবাই সুস্থ রয়েছেন।


আরও পড়ুন: 'জড়িত নই, লোনের টাকাও শোধ করেছি', আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পাল্টা জবাব নুসরতের