সুনীত হালদার, হাওড়া: বর্ধমানের ছায়া এ বার হাওড়ার (Horrah News) ঘুসুড়িতে (Ghusuri News)। সেখানে ৭ জনের রহস্যমৃত্যু (Hooch Tragedy)। পরিবারের দাবি, চোলাই খেয়ে বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি আরও অনেকে। মৃতের (Death) সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
চোলাই খেয়ে ঘুসুড়িতে মৃত্যু ছ'জনের
হাওড়ার ঘুসুড়ির মালিপাঁচঘড়া থানা অন্তর্গত ধর্মতলা এলাকার ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, মালিপাঁচঘড়া থানার পিছনেই রেললাইনের ধারে নিয়মিত বসে চোলাইয়ের ঠেক। মঙ্গলবার রাতেও সেখানে মদের আসর বসে। তাতেই একে একে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই ওই ছয় জনের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। অসুস্থ অনেককে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় হাসপাতালে। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে, চলতি মাসের শুরুতে পূর্ব বর্ধমানে বিষমদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে মৃত্যু হয় আট জনের। তারই ছায়া এ বার ঘুসুড়িতে। এ দিন একে একে লোকজন হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ভাঙচুর চালান একটি চোলাই মদের দোকানে।
ঘুসুড়ির যে এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে, সেটি একটি শিল্পাঞ্চল। প্রচুর ছোট ছোট কারখানা রয়েছে সেখানে। বহু শ্রমিক কাজ করেন ওই সমস্ত কারখানায়। দিনভর পরিশ্রমের পর সন্ধেয় তাঁরা ওই ঠেকে গিয়ে নেশাভাঙ করেন বলে স্থানীয়দের। প্রতাপ কর্মকার নামের এক ব্য়বসায়ী ওই চোলাইয়ের ঠেক চালাতেন বলে অভিযোগ। তাঁর উপর রাগ গিয়ে পড়েছে স্থানীয়দের।
দিনের পর দিন বেআইনি ঠেকে আসর বসত বলে অভিযোগ
স্থানীয়দের দাবি, গতকাল রাতে আকণ্ঠ পান করার পর থেকেই একে একে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন সকলে। যত রাক বাড়ে, ততই ঢলে পড়তে থাকেন পর পর লোকজন। এ দিন এলাকায় গিয়ে দেখা যায় শোকের চায়া নেমে এসেছে। কান্নার রোল উঠেছে ঘরে ঘরে। একই সঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগ, নিয়মিত ওই বেআইনি ঠেকে আসর বসে। দীর্ঘ দিন ধরেই এমন চলছে। অথচ কারও কোনও হেলদোল নেই। কেন ওই বেআইনি ঠেক ভেঙে দিল না প্রশাসন, প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।