সুনীত হালদার, হাওড়া: ঘুসুড়িতে (Ghusuri) মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় সাসপেন্ড করা হল মালিপাঁচঘড়া থানার তিন পুলিশকর্মীকে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে SI সরফরাজ আলম এবং দুই ASI ওয়াসিম বারিক ও সুব্রত মেটিয়াকে চিৎপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে মালিপাঁচঘড়া থানার ঘুসুড়ি (Ghusuri) এলাকায় মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে ১০ জনের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। এলাকাবাসীরা অভিযোগে জানিয়েছিলেন, থানার অদূরেই চলছিল বেআইনি মদের ঠেক! ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রতাপ কর্মকার সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার সাসপেন্ড হলেন তিন পুলিশকর্মী।
গত ২০ জুলাই, বর্ধমানের পর এবার হাওড়া! ফের মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। থানার অদূরেই বেআইনি মদের ঠেক চালানো নিয়ে উঠছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্ন। আজ সেসব বেআইনি মদের ঠেক ভাঙল উত্তেজিত জনতা। নিম্নমানের মদের সঙ্গে কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হত জাল মদ! আর সেই মদ খেয়েই মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে হাওড়ার ঘুসুড়িতে! ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত। কেউ সবে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন, কেউ আর কোনওদিন ফিরবেন না। এভাবে বারবার বিষ মদে প্রাণ যাচ্ছে কেন? কবে সক্রিয় হবে প্রশাসন? হাওড়ার ঘুসুড়ির ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছেন বর্ধমানের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।
মদ খাওয়ার পরই হাওড়ার ঘুসুরিতে অসুস্থ হয়ে পরপর মৃত্যু! সকলেরই শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তবে মদের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে কিনা বোঝা যাবে কেমিক্যাল টেস্টের পরই। এমনটাই পুলিশ সূত্রে দাবি। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। রাজ্যে বিষমদে বিষক্রিয়ার জেরে মৃত্যুর ঘটনা আগেও ঘটেছে। ৭ জুলাই বর্ধমানে ৬ জনের মৃত্যু হয়।
৪০ বছর ধরে এলাকায় বেআইনি মদের কারবার চলার অভিযোগ ওঠে ঘটনায়। হাওড়ায় মদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার জেরে, স্থানীয় এক মদের ঠেকের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে, খুন, ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো এবং বিক্রি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
হাওড়ার ঘুসুড়িতে মদ খেয়ে, অসুস্থ হয়ে আরও মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। দু-দিনের মধ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১১। এখনও আশঙ্কাজনক বেশ কয়েকজন। হাসপাতালে তাঁদের সঙ্গে দেখা করলেন সুকান্ত মজুমদার। ঘটনা নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। আইনানুন তদন্ত হচ্ছে, পাল্টা দাবি তৃণমূলের।