সুনীত হালদার, হাওড়া: পঞ্চায়েত ভোটের আগে, ল্য়াপটপ চুরি ঘিরে হাওড়ায় বাড়ছে রহস্য়। সম্প্রতি ডোমজুড়ের কলোড়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস থেকে একটি ল্য়াপটপ চুরি গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের তালিকায় গরমিল ধরা পরে যাওয়ার ভয়েই লোপাট করে দেওয়া হয় ল্য়াপটপটি। অভিযোগ, সিসিটিভি বন্ধ করে, রীতিমতো পরিকল্পনা করে সরানো হয় ল্য়াপটপ। ডোমজুড় থানা, বিডিও অফিস, জেলাশাসকের অফিস সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগ দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা। চুরি যাওয়ার কথা স্বীকার করে নিলেও, তাতে কোনও হিসেব পত্র ছিল না বলে দাবি করেছে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত। এনিয়ে তুঙ্গে চাপানউতোর। 


হুগলির হরিপালের পর এবার হাওড়ার ডোমজুড়। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের পঞ্চায়েত থেকে তথ্য লোপাটের অভিযোগ। হরিপালে পঞ্চায়েতে নথি চুরির অভিযোগ উঠেছিল। এবার ডোমজুড় পঞ্চায়েতে ল্য়াপটপ চুরির অভিযোগ উঠল। 


রাজ্যে কড়া নাড়ছে পঞ্চায়েত ভোট। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা এবং ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে চলছে চাপানউতোর। এরই মধ্যে, সম্প্রতি ডোমজুড়ের ওই পঞ্চায়েত অফিস থেকে একটি ল্য়াপটপ চুরি হয়ে যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, আবাস যোজনা ও ১০০ দিনের কাজের তালিকায় গরমিল ধরা পরে যাওয়ার ভয়েই লোপাট করে দেওয়া হয়েছে ল্য়াপটপটি। অভিযোগ, সিসিটিভি বন্ধ করে, রীতিমতো পরিকল্পনা করে সেটি সরানো হয়। ডোমজুড় থানা, বিডিও অফিস, জেলাশাসকের অফিস সহ একাধিক জায়গায় অভিযোগও দায়ের করেছেন গ্রামবাসীরা। 


শাসক-বিরোধী চাপানউতোর:
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতকে নিশানা করেছে বিরোধীরা। ডোমজুড়ের বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ সিংহ বলেন, 'পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের হিসেবে গরমিল ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ ছিল মানে ভেতরের তৃণমূলের লোকেরা চুরি করেছে। বাইরের কেউ নয়। ডাল মে কুচ কালা হ্ায়য়। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের হাত থাকতে পারে। আর তৃণমূল মানে টোটালি ম্যানেজড বাই ক্রিমিনালস। প্রশাসনের তদন্ত করে দেখা উচিত।'


সিসিটিভি বন্ধ করে, চুরির কথা স্বীকার করে নিলেও, ল্যাপটপটিতে কোনও জরুরি তথ্য ছিল না বলে দাবি করেছেন প্রধান। কোলড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নিলুফা মল্লিক বলেন, 'সিসিটিভি ক্যামেরা বন্ধ রেখে ল্যাপটপ চুরির কথা স্বীকার করেছেন। ওই ল্যাপটপে কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল না। সেটি কিছুদিন আগে কেনা হয়। এ ব্যাপারে ডোমজুড় থানার পুলিশ তদন্ত করছে।'


কিন্তু পঞ্চায়েত অফিস তালা বন্ধ থাকা অবস্থায় কী করে চুরি গেল ল্যাপটপ? তাহলে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত? ডোমজুড় থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও পর্যন্ত তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।  


গত মাসেই, হুগলির হরিপালে তৃণমূল পরিচালিত নালিকুল পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতে আলমারি ভেঙে নথি চুরি হয়। অভিযোগ ওঠে, দুর্নীতি ঢাকতে পরিকল্পনা করে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এবার একই রকম ঘটনা ঘটল হাওড়ার কোলড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। 


আরও পড়ুন: একই দিনে জোড়া হত্যাকাণ্ড, কয়েকমাসে কেন বারবার নিশানায় তৃণমূল নেতারা?