সুনীত হালদার, হাওড়া: স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তাঁকেই নাম ধরে সম্বোধন তৃণমূল নেতার। শুধু তাই নয়। হোয়াটসঅ্যাপে দেওয়া হল হুমকি বার্তাও। ঘটনাস্থল হাওড়ার ডোমজুড়।
ডোমজুড়ের নিবড়া প্রিয়ময়ী প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম করে জেলা তৃণমূলের শিক্ষা সেলের হোয়াটসআপ গ্রুপে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকী বাইক বাহিনী নিয়ে স্কুলে এসেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্য ধ্রুবজ্যোতি সেনের বিরুদ্ধে। কী কারণ? বকেয়া DA-এর দাবিতে ধর্মঘটের দিন স্কুলে না এলে খেলা হবে--এমনটাই হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। বকেয়া DA'এর দাবিতে ধর্মঘটের দিন স্কুলে না এলে খেলা হবে। ডোমজুড়ের নিবড়া প্রিয়ময়ী প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নাম করে জেলা তৃণমূলের শিক্ষা সেলের হোয়াটসআপ গ্রুপে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছিল। এমনকী বাইক বাহিনী নিয়ে স্কুলে এসেও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্য ধ্রুবজ্যোতি সেনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় এবার পুলিশি নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন স্কুলের শিক্ষকরা। ডোমজুড়ের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন তাঁরা। ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত, তবে তাঁর দাবি, তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদের উজ্জীবিত করতে এধরনের বার্তা দিয়েছিলেন বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত।
গত শুক্রবার, অর্থাৎ, ১০ তারিখ DA-র দাবিতে ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছিলেন, হাওড়ার ডোমজুড়ের নিবিড়া প্রিয়ময়ী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলেশ ঘোষ। তিনি নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির বাঁকড়া চক্রের সভাপতি। অভিযোগ, ধর্মঘটের ক'দিন আগে থেকেই তাঁর নাম করে সোশাল মিডিয়ায় হুমকি দিচ্ছিলেন হাওড়া জেলা তৃণমূল শিক্ষা সেলের সক্রিয় সদস্য়, ধ্রুবজ্য়োতি সেন। ধর্মঘটের দিন, তৃণমূলের বাইক বাহিনী স্কুলে এসে তাঁকে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ:
ডোমজুড়ের নিবিড়া প্রিয়ময়ী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কমলেশ ঘোষ বলেন, 'আমি ধর্মঘটের সমর্থনকারী। রাজ্য়ের শাসকদলের প্রাথমিক শিক্ষা সংগঠন অপমানজনক ভাষায় লেখে খেলা হবে। লেখে কমলেশ না এলে খেলা হবে। নাম করে বলছে, কমলেশ না এলে খেলা হবে। আমি অনুমান করেছিলাম কিছু একটা ঘটবে। school- এ আসার পর দেখি কোনও ছাত্রছাত্রী আসছে না। একটা সময় পর আমরা গেট বন্ধ করে দিই।' প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ,পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয়ে স্কুলে আসছে না তারা। হঠাৎ করেই স্কুলে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার চোখে পড়ার মতো কমে গিয়েছে।
অভিযুক্তের দাবি:
অভিযুক্ত তৃণমূল শিক্ষক নেতার দাবি, ধমক দিতে নয়, স্কুলে খোঁজ খবর নিতে গেছিলাম। হাওড়ায় তৃণমূলের শিক্ষা সেলের সদস্য ধ্রুবজ্য়োতি সেন বলেন, 'এটা কোনওভাবেই ধমকি চমকি নয়। এটা তো আমাদের স্লোগান-খেলা হবে। আমরা খেলার মাধ্য়মে বন্ধ রেখে দেব। ওরা গিয়ে দেখে স্কুলের গেট খুলছে না। তাই পাড়ায় গেছিলাম খোঁজ খবর নিতে। মিড ডে মিল নিয়ে দুর্নীতি করলেন। ২০০ বাচ্চা খেতে পেল না।'
আরও পড়ুন: আরও ঘোরাল অচলাবস্থা, সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি