সুনীত হালদার, হাওড়া: নিম্নচাপের জেরে টানা বর্ষণের ফলে হাওড়া শহর জলমগ্ন। হাওড়া পুরসভার কমপক্ষে ৩০টি ওয়ার্ডে জল জমে আছে এখনও। মঙ্গলবার রাতে টানা বর্ষণের ফলে পরিস্থিতি ক্রমশই ঘোরালো হয়ে উঠেছে। মধ্য হাওড়ার পঞ্চাননতলা, টিকিয়াপাড়া ছাড়াও বেলগাছিয়া, সালকিয়া, দাসনগর এবং লিলুয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় রাস্তায় জল জমে আছে। 


বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টির তীব্রতা কমলেও জমা জলে বাসিন্দাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। যদিও হাওড়া পুরসভা প্রশাসক মন্ডলের চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন পাম্প হাউজগুলো চালানোর পাশাপাশি অতিরিক্ত পাম্প চালানো হচ্ছে  যাতে জল দ্রুত নামিয়ে দেওয়া যায়।


শুধু হাওড়া নয়, একাধিক জেলায় উঠে এসে জলযন্ত্রণা চিত্র। নিম্নচাপের জেরে রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন ক্যানিংয়ের একাংশ। ক্যানিং থানা এলাকার আয়ুব নগর, নন্দন পল্লি, মমতা পল্লি-সহ বেশ কিছু এলাকায় জল জমেছে। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে মেদিনীপুর পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন। বেহাল নিকাশির কারণেই জলযন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের।


অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে খড়গপুর শহরের কৌশল্যা মোড়-সহ বিভিন্ন এলাকা। একাধিক বাড়িতে জল ঢুকেছে। জলের তলায় খড়গপুর স্টেশনে রেললাইনের একাংশ। আইআইটি বাইপাসে উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। রবিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জঙ্গলমহলও। 


ডুলুং নদীর জল বইছে চিল্কিগড়ের কাছে ব্রিজের ওপর দিয়ে। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঝাড়গ্রাম শহর থেকে জামবনি ব্লকের একাংশ কার্যত বিচ্ছিন্ন। টানা বৃষ্টিতে জামবনি, ঝাড়গ্রাম, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত। বিঘের পর বিঘে চাষজমি জলমগ্ন হয়ে পড়ায় মাথায় হাত কৃষকদের। 


এদিকে, আজও দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে। বিকেলের পর আবহাওয়ার উন্নতি হবে। তুলনামূলকভাবে ভারী বৃষ্টি হবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। কাল থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শুক্র-শনিবার ফের একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে। ক্রমশ তা বাংলা-ওড়িশা উপকূলের দিকে এগোবে। এর প্রভাবে সপ্তাহান্তে ফের দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ভ্রুকুটি।