বাচ্চু দাস, দার্জিলিং: বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে নিউ কামাখ্যাগামী ক‍্যাপিটাল স্পেশাল আপ ট্রেনে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, চলন্ত ট্রেনের এমারজেন্সি জানলা থেকে পড়ে গুরুতর জখম হয় এক শিশু।  যা নিয়ে স্টেশন চত্বরেও ছড়িয়েছে উত্তেজনা। 


বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে নিউ কামাখ্যাগামী ক‍্যাপিটাল স্পেশাল আপ  খড়িবাড়ির অধিকারী স্টেশন থেকে এনজিপির উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায় শিশুটি, এমনটাই জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। জানা গিয়েছে, শিশুটির বাড়ি গোরুবাথান এলাকায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে খড়িবাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর শিশুটি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেই ছিল শিশুটি। জানলার ধারে বসে সে খেলছিল। তবে, সেটি ছিল এমার্জেন্সি জানলা। দুর্ঘটনা বা অন্য কোনও বিপদের সময় দ্রুত ট্রেন থেকে বের হওয়ার জন্য এই জানলা ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু আচমকাই গ্রিল খুলে পড়ে যায় শিশুটি। 


ঘটনা ঘিরে স্টেশন চত্বরে উত্তেজনা দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে ট্রেনটি। ট্রেনটি  দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ির অধিকারী স্টেশনে ছিল।  চলন্ত ট্রেন থেকেই প্ল্যাটফর্মে পড়ে যায় শিশুটি। পরিবারের সদস্য ও সহযাত্রীরা মিলে ছুটে গিয়ে উদ্ধার করে শিশুটিকে। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচে শিশুটি। পরে পরিস্থিতি ঠিক হলে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। 


অন্যদিকে, ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জেলায় হাসপাতালগুলিতে বাড়ছে শিশু ভর্তির সংখ্যা। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে শিশুদের জ্বর-সর্দি উপসর্গ নিয়ে উপচে পড়া ভিড়। প্রতিদিন প্রায় ৩০০ জন শিশুকে নিয়ে মায়েরা হাসপাতাল আসছে ডাক্তার দেখাত। ভর্তি গড়ে প্রায় ৩০ জন। এই মুহূর্তে জেলা হাসপাতালে জ্বর,সর্দি, বমি, পেটে ব্যথা নিয়ে ভর্তি ৭০ শিশু। জ্বরের ভাইরাস শনাক্ত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আলোচনা শিশু বিশেষজ্ঞদের।


হাসপাতালে ভর্তি বেশিরভাগ শিশুর বয়স ৫ মাসেরও কম। ইতিমধ্যেই জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের চিকুনগুনিয়া, জাপানি এনসেফেলাইটিস, ডেঙ্গি-সহ একাধিক মেডিক্যাল টেস্টের পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।