সুনীত হালদার, হাওড়া: পুজোর আগেই বাংলায় এল পদ্মার ইলিশ। গতকাল রাতে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে পৌঁছয় ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ বোঝাই ট্রাক। সকালে তা পৌঁছে যায় হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে।


সোমবারই ভারতে ইলিশ রফতানিতে অনুমতি দেয় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক। ১০ অক্টোবরের মধ্যে ধাপে ধাপে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে পৌঁছনোর কথা। এ বছর দিঘা, শঙ্করপুর, কাকদ্বীপ, ডায়মন্ড হারবার থেকে সেভাবে ইলিশ আসেনি। ফলে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসার খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি বাঙালি। তবে ওই ইলিশের দাম নাগালের মধ্যে থাকবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। বিক্রেতাদের অবশ্য আশা, জোগান বাড়ায় কমবে ইলিশের দাম। 


পুজোর মুখে ভোজন রসিকদের জন্য সুখবর। কাটতে চলেছে ইলিশ খরা। বুধবারই বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এসে পৌঁছল ১৬ টন পদ্মার ইলিশ। এদিন তিনটি ট্রাকে আসে মাছ। প্রতিটি ইলিশের ওজন এক কেজির ওপর। আগামী দিনে ২,০০০ টন ইলিশ ওপার বাংলা থেকে এপারে আসার কথা রয়েছে।


নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে। আর বৃষ্টি মানেই তো খিচুড়ি আর ইলিশ মাছ ভাজা। এর মধ্যেই ইলিশপ্রেমীদের জন্য সুখবর। ওপার বাংলা থেকে টন টন ইলিশ ঢুকবে এপারে। হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে, সব মিলিয়ে আসার কথা ২,০৮২ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ। পাইকারি বাজারে ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশের দাম পড়বে, ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। ১ কেজির বেশি ইলিশের দাম পড়বে ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকা। 


২০১২ সালে ভারতে ইলিশ রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে শেখ হাসিনা সরকার। তবে গত তিন বছর ধরে এপারে ইলিশ পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। 


কাকদ্বীপ থেকে দিঘা বা কোলাঘাট, এ বছর প্রায় কোনও জায়গাতেই সেভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। তাই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো খোকা ইলিশেই কাজ চালাতে হয়েছে খাদ্যরসিকদের। তবে এবার পুজোর উপহার হিসেবে এপার বাংলায় ইলিশ পাঠাতে শুরু করল বাংলাদেশ।