অরিত্রিক ভট্টাচার্য ও সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি : হাওড়া স্টেশনে (Howrah Station) লাঠিচার্জের প্রতিবাদে হুগলিতে রেল অবরোধ হকারদের। অবরোধের জেরে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচল প্রায় ২ ঘণ্টা বন্ধ। চরম ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা। সবমিলিয়ে অফিস ফেরৎ যাত্রী থেকে সাধারণ যাত্রী, দুর্ভোগ চরমে। হকারিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বঙ্গীয় হকার সম্মেলনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে শনিবার রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল হাওড়া স্টেশন চত্বর। আরপিএফের সঙ্গে হকারদের বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। বিক্ষোভকারী হকারদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে আরপিএফ। আটক করা হয় ১৫ জন হকারকে। 


ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। হুগলির কোন্নগর স্টেশনে হকারদের স্টল ভেঙে দেয় আরপিএফ (RPF)। স্টল ভাঙচুরের পাশাপাশি মালপত্র ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শুক্রবার হকাররা ফের দোকান বসাতে গেলে বাধা দেয় আরপিএফ। হাওড়া স্টেশন চত্বরেও হকারদের বসতে আরপিএফ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে শনিবার হাওড়া স্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় বঙ্গীয় হকার সম্মেলন। হাওড়া স্টেশনের ২ নম্বর পয়েন্টে বিক্ষোভ দেখান হকাররা। পাশাপাশি বর্ধমান, ব্য়ান্ডেল, কোন্নগর থেকে আসা হকাররা হাওড়া স্টেশনের ৫ নম্বর প্ল্য়াটফর্মে নেমে জমায়েত করতে  ও স্লোগান দিলে বাধা দেয় আরপিএফ। প্ল্যাটফর্ম (Platform) চত্বর ঘিরে দেওয়া হয়। হকাররা ব্য়রিকেড টপকাতে গেলে উত্তেজনা ছড়ায়। 


প্রতিবাদে হাওড়ার ডিআরএম অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান হকাররা। সেখানেও তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করা হয়। হাওড়া স্টেশনের ঘটনা প্রসঙ্গে হাওড়া সদরের তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'মারধরের কোনও কারণ নেই। গরিব মানুষ এরা। এরা এখানে খায় ব্য়বস্থা করে। এটা খুব লজ্জার, দুঃখের। ওদের নিয়ে যাক বোঝাক। আমি খবর পেয়েছি। দিল্লি যাচ্ছি। রেলমন্ত্রীকে বলব।'


পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে জিআরপি ও গোলাবাড়ি থানার পুলিশ হাওড়া স্টেশনে যায়। বেশ কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। যদিও হাওড়া স্টেশনের পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়ে অন্য জায়গায়। যার জেরে হাওড়া-ব্যান্ডেল শাখায় ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।                            


 


আরও পড়ুন- আধারের বায়োমেট্রিক ক্লোন করে জালিয়াতির জাল ! ওটিপি ছাড়াই ব্যাঙ্ক প্রতারণার নতুন কায়দা থেকে বাঁচবেন কীভাবে ?









https://t.me/abpanandaofficial