সুনীত হালদার, হাওড়া: রোগী মৃত্যু ঘিরে হাওড়া হাসপাতালে উত্তেজনা চরমে। কর্তব্যরত দুই চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগ উঠল মৃতের ছেলের বিরুদ্ধে।
কী ঠিক ঘটেছে?
হাসপাতাল সূত্রে খবর, লিলুয়ার বাসিন্দা কার্তিক দে কিডনির সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতকাল রাতে মৃত্যু হয় বছর ৪৬-এর ওই রোগীর। অভিযোগ, এরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসক নবারুণ মজুমদারের ওপর চড়াও হয় মৃতের ছেলে রোহিত দে। মারধর করায় বাঁচাতে যান আরেক চিকিত্সক। তিনিও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। যুবকের মারে গুরুতর আঘাত পান এক চিকিৎসক৷ তাঁর কাঁধের হাড় ভেঙে গিয়েছে৷ হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর৷ এ দিকে হাসপাতালে তাণ্ডবের খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিস৷ গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে৷
হাসপাতালসূত্রে কী বলা হয়েছে?
হাসপাতাল সূত্রে খবর, চিকিৎসক নবারুণ মজুমদারের কাঁধের হাড় সরে যাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মৃত রোগীর ছেলেকে গ্রেফতার করেছে হাওড়া থানার পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
রোহিত জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বাবার স্বাস্থ্যের অবনতি হয়৷ খবর পেয়ে হাসপাতালে যায় পরিবারের সদস্যরা৷ ছেলের চোখের সামনেই মৃত্যু হয় বাবার৷ বাবার মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি ছেলে৷