সুনীত হালদার, হাওড়া : হাওড়ার বাঁকড়ায় জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতারের পরও ফেরেনি হুঁশ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নথি ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে ভাড়া। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি উঠেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই নিয়ে প্রচার শুরু হবে।


 জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার
কয়েকদিন আগে হাওড়ার বাঁকড়া মুন্সিডাঙ্গা থেকে আনিরুদ্দিন আনসারী নামে এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে (JMB) গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)।  তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই এলাকার বাসিন্দা মঈনুদ্দিন তরফদারের সন্ধান পায় এসটিএফ। দুজনেই স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। আনিরুদ্দিনের গ্রেফতারের  পরের দিন ভোর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মঈনুদ্দিনের। বাড়ি তালা বন্ধ। সপরিবারে পলাতক। সন্দেহভাজন জঙ্গির বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, ' ও আমার বাড়িতে ৫ বছর ভাড়া ছিল। কোনও কাগজপত্র নেই। মসজিদ কমিটি বলেছিল তাই ভাড়া দিই। কোথায় গেছে জানি না।' স্থানীয় সূত্রে খবর দুজনই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেওয়ার আগে কোন পরিচয়পত্র এবং ছবি বাড়ির মালিক অথবা স্থানীয় থানাতে জমা দেননি। স্থানীয় মসজিদ কমিটির সুপারিশে তাদেরকে বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয়। এমনটাই জানিয়েছেন বাড়ির মালিকরা। 


 হুঁশ ফেরেনি বাঁকড়ায়
এদিকে হুঁশ ফেরেনি বাঁকড়ায়  কিছু বাড়ির মালিকের। বাইরের লোকেদের পরিচয়পত্র যাচাই না করে ভাড়া দেওয়া চলছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। এই নিয়ে তাঁরা প্রশাসনিক তৎপরতা দাবি করছেন। মুন্সিডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাড়ার চুক্তিপত্রই তৈরি হয় না। শেখ সইফুদ্দিন জানাচ্ছেন, ' আমরা আতঙ্কিত, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক এসে ভাড়া নিচ্ছে, কোনও পরিচয়পত্র নিচ্ছে না। বড় বড় ঘটনা ঘটছে। প্রশাসনের সতর্ক হওয়া উচিত।' 


বাঁকড়া দু নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মেহের আলি জানিয়েছেন, তাঁরা পরিচয়পত্র যাচাই করে যাতে ঘর ভাড়া দেওয়া হয়, তার জন্য বাড়ির মালিকদের সতর্ক করেছেন। এর পাশাপাশি এই নিয়ে তারা প্রচার করবেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও নতুন ভাড়াটেদের সম্পর্কে তথ্য জানার জন্য টেনান্ট ফর্ম পূরণ করার জন্য পঞ্চায়েতের কাছে আবেদন করা হয়েছে।