সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, হুগলি: দলের নেত্রীকে মারধরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাকে জামিন পাইয়ে দিয়ে, শোকজের মুখে পড়লেন বিজেপির এক আইনজীবী নেতা।
এই ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগরে। সেখানকার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী কৃষ্ণা ভট্টাচার্যকে পুরভোটের সময় মারধরের অভিযোগ ওঠে ওই ওয়ার্ডের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী তন্ময় দেবের বিরুদ্ধে। উত্তরপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় সেই সময়।
এদিকে, তৃণমূল নেতার হয়ে মামলা লড়েন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ও শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি রঘুনাথ অধিকারী। এরপর তন্ময় দেব এই মামলায় জামিন পান। তারপরই রঘুনাথের ওপর খড়গহস্ত হয় দল। রঘুনাথ অধিকারীকে শোকজ করা হয়।
এই ঘটনার পর রঘুনাথ জানিয়েছেন, তিনি পেশার কারণেই মামলা লড়েছেন। দলের সঙ্গে এর কোনও যোগ নেই। তাই এতে কোনও অন্যায় দেখছেন না। এদিকে, তৃণমূল নেতা তন্ময় দেব জানিয়েছেন যে, আইনজীবী হিসেবে রঘুনাথ অধিকারী তাঁর কাজ করেছেন।
এদিকে, শপথ গ্রহণের দিন হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীদের (TMC) একাংশ। দলের ঘোষিত চেয়ারম্যানকে মানতে চান না বিক্ষোভকারীরা। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান। আর নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
ফের পুরসভার চেয়ারম্যান নিয়ে ক্ষোভ। দলের ঘোষিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কর্মীদেরই একাংশ। হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভায় সোমবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল। বৈদ্যবাটি পুরসভায় ২৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
আর সেখানেই চেয়ারম্যানকে মানতে নারাজ তৃণমূলেরই একাংশ। বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে কাউন্সিলর পিন্টু মাহাতোর নাম ঘোষণা করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু, বিক্ষোভকারী তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্ন, মাত্র ৬৪ ভোটে জয়ী পিন্টু মাহাতো কেন চেয়ারম্যান হবেন? তাঁদের দাবি, ৩ হাজার ভোটে জয়ী সুবীর ঘোষকে চেয়ারম্যান করা হোক।