সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়া ময়দান (Howrah Fire) এলাকার মঙ্গলাহাটে আগুন। কালো ধোঁয়ায় ঢাকল গোটা এলাকা। মডার্ন হাট বিল্ডিংয়ের ৩ তলায় আগুন। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন।

মঙ্গলাহাটে আগুন-আতঙ্ক: বড়বাজারের বিধ্বংসী আগুনের স্মৃতি এখনও টাটকা। এরইমধ্যে এবার হাওড়ায় আগুন আতঙ্ক। রবিবাসরীয় সকালে হাওড়া ময়দান এলাকার মঙ্গলাহাটে আগুন লাগে। সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ মর্ডান হাট বিল্ডিংয়ের ৩ তলায় আগুন লাগে। একটি গুদাম থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। হাট মঙ্গলবারে বসলেও রবিবারে মঙ্গলাহাটে বেচাকেনা হয়। ফলে প্রচুর ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা ছিলেন। আগুন লাগায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের ৪টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক অনুমান দমকলের।                      

দিন কয়েক আগে ভোর রাতে বিধ্বংসী আগুন লাগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাতগাছিয়ার বিবিরহাটে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় কাঠের গোলা এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি। কাঠ এবং প্লাইউডের মতো দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের কয়েকটি বাড়িতেও আগুন লেগে যায়। ৩টি গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ হওয়ায় আগুনের তীব্রতা বাড়ে। দমকলের ৫টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাচারেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা। 

এই ঘটনার আগে বড়বাজারে অগ্নিকাণ্ডে গিয়েছে ১৪ জনের প্রাণ। বড়বাজারের মেছুয়র ৬ নম্বর মদনমোহন বর্মন স্ট্রিটের ঋতুরাজ হোটেলে আগুন লাগে। সেখানেই কেউ দমবন্ধ হয়ে, কেউ ঘুমের মধ্য়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঢলে পড়েন মৃত্য়ুর কোলে। প্রশ্ন ওঠে, কার ভুলে এতবড় দুর্ঘটনা? দায় কার? এতগুলো প্রাণ চলে যাওয়ার জন্য় কারা দায়ী? হোটেলে আগুন কীভাবে এত ভয়াবহ আকার নিল? ঘটনায় হোটেল কর্তৃপক্ষের ঘাড়েই দায় চাপিয়েছেন দমকলমন্ত্রী। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ঋতুরাজ হোটেলের মালিক আকাশ চাওলা ও ম্যানেজার গৌরব কাপুর। হোটেলের মালিক ও ম্যানেজারের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, গুরুতর আঘাত-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে জোড়াসাঁকো থানার পুলিশ। তল্লাশি চালিয়ে ১ মে ভোরে হোটেল মালিক ও ম্যানেজারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুর কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।