সুনীত হালদার, হাওড়া: মানিকপুর এলাকায় বাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে এক নিখোঁজ যুবকের হত্যা রহস্যের কিনারা করল সাকরাইল থানা ও মানিকপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ইটভাটায় পুতে রাখা অবস্থায় জুন মাস থেকে নিখোঁজ থাকা যুবকের দেহ উদ্ধার হল। বাইক পাচার চক্রে আর কারা যুক্ত খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 


বড়সড় বাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে দুমাস পর নিখোঁজ থাকা যুবকের খোঁজ পেল পুলিশ। কিন্তু জীবিত নয় ইটভাটায় পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার হল দেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার মানিকপুর এলাকায় বড়সড় বাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নামে সাঁকরাইল থানা ও মানিকপুর ফাঁড়ি। শেখ নিয়ামুল ও শেখ মুন্না নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। 


ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তারা এলাকারই শেখ হাসান নামে এক যুবকে খুন করে সারেঙ্গার একটি ইটভাটায় পুঁতে রেখেছে। এরপর ইটভাটায় গিয়ে মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতের দাদা, শেখ সামসের বলেন, 'পুলিশকে বাইক চুরির বিষয়ে খবর দিয়েছিল। সেই বশেই খুন করা হয়েছে। শাস্তি চাই।' পুলিশে সূত্রে খবর, খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। বাইক পাচার চক্রে আর কারা যুক্ত খতিয়ে দেখছে পুলিশ।


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ওড়িশা থেকে এরাজ্যে এসে বাইক চুরি এবং পাচারের অভিযোগ উঠেছিল বেশ কয়েকজন পাচারকারীর বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ১০টি বাইক উদ্ধার হয়েছে। কাঁথি থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা ওড়িশার বালেশ্বরের বাসিন্দা। তাঁদের নাম শেখ কামাল উদ্দিন ও বাপন দাস। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান বাইক চুরি এবং পাচারের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের বেশ কিছু চক্র জড়িত রয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার দুইজন আন্তঃরাজ্য প্রচার চক্রের যুক্ত রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। বাইক চুরি যুবকদের ধরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল কাঁথি থানার পুলিশের।  কাঁথি সাতমাইল সারিয়া এলাকায় একটি মোটর বাইক গ্যারেজে চোরাই বাইকের নম্বর প্লেট চেঞ্জ করছিল ভিন রাজ্যের বেশ কয়েকজন যুবক। পাশাপাশি চুরি চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল গ্যারেজের মালিকও।