অরিত্রিক ভট্টাচার্য, হাওড়া: সময়সীমা দেওয়া হয় ২০২৩ সালের জানুয়ারি (January) পর্যন্ত। দ্রুত গতিতে চলছে হাওড়া মেট্রো স্টেশন (Howrah Metro Station) নির্মাণের শেষ পর্বের কাজ। দেশের সবচেয়ে পুরনো ও সবচেয়ে বড় রেলওয়ে কমপ্লেক্সের (Railway Complex) মধ্যে পাতাল পরিষেবার প্রস্তুতি কতদূর এগোল? হাওড়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে কীভাবে গঙ্গার মুখ পর্যন্ত পৌঁছে যাবেন যাত্রীরা, সেই পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন আমাদের প্রতিনিধি।
দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন
এ যেন পাতালে উথাল-পাথাল। ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের হাত ধরে গণপরিবহণে বিপ্লব। আর সেই বিপ্লবের সাক্ষী হতে তাল ঠুকছে শতাব্দী প্রাচীন হাওড়া স্টেশন। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ এবং হাওড়া ময়দান রুটে ছুটবে রেক। কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড বা কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, চলতি মাসেই পয়লা বৈশাখ থেকে চালু হতে চলেছে শিয়ালদা মেট্রো স্টেশন।
দেশের অন্যতম ব্যস্ত স্টেশনে যখন শেষ পর্যায়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে, তখন আরও এক ব্যস্ত স্টেশন হাওড়াতেও সাজো সাজো রব। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, দেশের মধ্যে গভীরতম মেট্রোস্টেশন হতে চলেছে হাওড়া। গভীরতা ৩৩ মিটার।
এর আগে দেশের গভীরতম মেট্রোস্টেশন ছিল দিল্লির হজ খাস। যার গভীরতা ছিল ২৯ মিটার।
গভীরতম স্টেশনের খুঁটিনাটি
স্টেশনের গেট থেকে বেরিয়ে প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত পৌঁছতে গেলে ভাঙতে হবে ২৬৭টি সিঁড়ি। কিন্তু হাওড়া স্টেশন মানেই সব সময় জনারণ্য। প্রচুর ভিড়ের চাপ। সেকথা মাথায় রেখে, চারতলা স্টেশনে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য থাকছে ২৬টি চলমান সিঁড়ি এবং ৭টি লিফট। হাওড়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে সুড়ঙ্গ বরাবর ২২৫ মিটার পূর্বে গেলেই পৌঁছনো যাবে গঙ্গার নীচে, যেখানে সুড়ঙ্গপথে নদীর নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো।
আরও পড়ুন: CPIM: তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’র পাল্টা ‘পার্টিকে বলো’ কর্মসূচি ঘোষণা সিপিএমের
১৯৮৪ সালে দেশে প্রথম মেট্রো চলতে শুরু করে খাস কলকাতায়। প্রথম নদীর নীচে রেলপথও তৈরি হয় কলকাতায়। হাওড়া স্টেশন থেকে বেরিয়ে মাত্র ২২৫ মিটার গেলেই যাত্রীরা সুড়ঙ্গের ঠিক এই জায়গাতেই ইতিহাসের সাক্ষী হবেন। গঙ্গার নীচে প্রবেশ করবেন।
ভিড়ের কথা মাথায় রেখে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে তৈরি হচ্ছে ডবল ডিসচার্জ প্ল্যাটফর্ম। শিয়ালদার মতো এখানেও রেক যেখানে দাঁড়াবে তার দুদিকেই প্ল্যাটফর্ম রাখা হয়েছে। দুদিকের প্ল্যাটফর্ম দিয়েই রেকে উঠতে পারবেন যাত্রীরা।
কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।