সুনীত হালদার, হাওড়া: চাল-ডালে কালো পোকায় ভরা। আর সেই চাল দিয়েই রান্না হচ্ছে শিশুদের খাবার। এমনই ছবি দেখা গেল হাওড়ার চামড়াইলের দক্ষিণপাড়া এলাকার একটি অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন।


ঠিক কী অভিযোগ? 


গত কয়েক বছর ধরে ডোমজুড়ের চামরাইল দক্ষিণপাড়ায় স্থানীয় একটি ক্লাব ঘরের মধ্যে শিশুদের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে তিন থেকে ছয় বছরের শিশুদের পড়াশোনা, খেলাধুলার পাশাপাশি তাদের নিয়মিত খাবার দেওয়া হয়। 


একইসঙ্গে গ্রামের গর্ভবতী মহিলারাও ওই কেন্দ্র থেকে খাবার নিয়ে যান। শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগ বেশ কয়েকদিন ধরে ওই কেন্দ্রে পোকা ধরা চাল ডাল দিয়ে ২৩ জন শিশু এবং বেশ কিছু গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খাবার তৈরি করা হচ্ছে। ফলে শিশুরা ওই খাবার খেয়ে যে কোন মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। 


তাদের অভিযোগ অনেক সময় খাবার বাড়িতে আনার পরেও তা তারা খান না। খাবার পথ কুকুরদের খাইয়ে দেন। এই নিয়ে তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন, এমনও অভিযোগ করেছেন। 


ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা এবং রাঁধুনী দুজনেই চাল ডালে পোকা থাকার কথা ক্যামেরার সামনে স্বীকার করেছেন। ওই শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষিকা জানিয়েছেন একসঙ্গে আড়াই মাসের চাল ও ডাল থেকে যাওয়ার ফলে তাতে পোকা ধরে যাচ্ছে। তারা চাল ও  ডাল রোদে সেঁকে নেওয়ার পর রান্না করলেও ভাত ও ডালে পোকা থেকে যাচ্ছে। পরে রান্না করার সময় ছাঁকনি দিয়ে ওই পোকাগুলোকে তুলে নেওয়া হয়।                                                        


আরও পড়ুন, হার্ট বন্ধ হওয়ার ৫০ মিনিট পর জেগে উঠল 'মৃতদেহ'! আকস্মিক ঘটনায় হতবাক চিকিৎসকরা


এদিকে এই ঘটনার কথা চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ডোমজুড় ব্লকের চাইল্ড প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট অফিসের আধিকারিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেন। ওই প্রজেক্টের সুপারভাইজার বর্ণিকা নায়েক বলেন পুরানো স্টকের চাল ডালে পোকা ছিল। কেন তা শিশুদের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে সেটা জানতে শিক্ষা কেন্দ্রের  শিক্ষিকাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তার গাফিলতি রয়েছে। তবে শিশুরা যাতে ভালো খাবার পায় তা দেখা হবে।