নয়া দিল্লি: বিশ্বে প্রতিনিয়তই কিছু না কিছু হয়ে চলেছে যা অবাক করে দেওয়ার মতোই। সম্প্রতি দ্য মেট্রো সংবাদমাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে যেখানে বলা হয়েছে মৃত্যুর ৫০ মিনিট পর জেগে উঠল মৃতদেহ। শুনতে অবাক লাগলে এবং গায়ে কাঁটা দিলেও এটাই সত্যি। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যার কোনও ব্যাখ্যা হয় না। এই ঘটনা অনেকটা তেমনই।
নিউজ পোর্টালটিতে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৩১ বছর বয়সি বেন উইলসনের পর পর দুটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় এবং তারপরই বন্ধ হয় হৃদস্পন্দন। সাধারণত এরকম ক্ষেত্রে ডিফাইব্রিলেটর ব্যবহার করে হার্টকে পুনরায় জীবিত করার চেষ্টা চালানো হয়। এক্ষেত্রে প্রায় ১৭ বার ডিফাইব্রিলেটর ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু বেন উইলসন ততক্ষণে কোমায় চলে গিয়েছেন। বাঁচার আশাও শেষ।
চিকিৎসকরাও তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝে গিয়েছে আর কিছু করার নেই। পরিবারকে কী বলবেন তাঁরা তা নিয়ে নিজেদের মধ্যেও কথা বলে নিচ্ছিলেন। সময় যত এগোচ্ছিল, ততই বেনের বেঁচে থাকার বিষয়টি ক্ষীণ হয়ে আসছিল।
কিন্তু সেখানেই ঘটল এক 'মিরাকল'। সব ভাবনা ভবিষ্যদ্বাণীকে মিথ্যে করে 'বেঁচে উঠলেন' বেন।
শুধু হার্ট নয়, মস্তিষ্কেও অক্সিজেন ঘাটতি দেখা দিয়েছিল ব্রেনে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের পর যা খুব কমন। তবে ৫০ মিনিট পর আচমকা তাঁর হৃদস্পন্দন ফিরে আসায় হতবাক হয়েছিলেন চিকিৎসকরা। ধীরে ধীরে চিকিৎসা চলেও। সম্পূর্ণ সুস্থ না হলেও হাঁটতে এবং কথা বলতে পারছেন বেন। তবে তাঁর সঙ্গিনী রেবেকা হোমস জানিয়েছেন, কথা বলায় সামান্য কিছু জড়তা রয়েছে, বেশ কিছু স্মৃতিও লোপ পেয়েছে।
আরও পড়ুন, অপারেশন থিয়েটারে রিল বানিয়ে শাস্তির মুখে ৩ নার্স
রেবেকা জানিয়েছেন, আমরাও বেনের প্রাণ ফেরার আশঙ্কা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এরপর চিকিৎসকরা বারবার ডিফাইব্রিলেটর ব্যবহার করে হৃদস্পন্দন ফেরানোর চেষ্টা করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর ফেরে হার্টবিট।
ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের কর্মী বেন উইলসন। রিপোর্টে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, কিছুদিনের মধ্যে বিয়েরও পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। সুস্থ হয়ে উঠলে তা শীঘ্রই সারবেন রেবেকা-বেন এমনটাই জানা যাচ্ছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে