পার্থপ্রতিম ঘোষ, হাওড়া : গ্যারাজে রাখা গাড়ি, ফ্ল্যাটের বক্স খাট এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। শুধু এগুলোতেই খোঁজ মিলেছে আঠাশ কোটি টাকার। এর সঙ্গে রয়েছে, হিরে ও সোনার গয়না। পুলিশের অভিযানের আগেই বেপাত্তা হাওড়ার পাণ্ডে ব্রাদার্স। তারপর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে । বিরাট অঙ্কের এই টাকা এল কোথা থেকে ? 

চিটফান্ডের কারবার
পুলিশের অনুমান, হাওড়ার ( Howrah Money Recovery ) শিবপুরের পাণ্ডে ব্রাদার্স মূলত অনলাইন চিটফান্ডের কারবার চালাতেন ! সেই চিটফান্ড। যা থেকে প্রতারিত হয়ে হাজার হাজার মানুষের জীবন মুখ থুবড়ে পড়েছিল ২০১৩-১৪ সালে !


বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একের পর এক অ্যাকাউন্ট
এর পাশাপাশি, কালো টাকা সাদা করার জন্য বিভিন্ন ব্যাঙ্কে একের পর এক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, দাবি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, গত অগাস্টে কানাড়া ব্যাঙ্কের নরেন্দ্রপুর শাখায় দুটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয় ১৬ নম্বর স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানায় খাদ্যশস্য সংস্থার নামে। একমাস পর, ওই দুটি অ্যাকাউন্টে ৭৭ কোটি টাকা লেনদেন দেখে সন্দেহ হয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। দেখা যায়, টাকা ট্রান্সফার হয়েছে ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের তিন বাসিন্দার নামে থাকা পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে। পুলিশ সূত্রে খবর, এরপর ইয়েস ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক-সহ আরও ৯টি ব্যাঙ্কে খোলা হয় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট। সমস্ত অ্যাকাউন্টের ইনট্রোডিউসার ছিলেন ব্যবসায়ী ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট শৈলেশ পাণ্ডে। তাঁর মাধ্যমেই চলত কালো টাকা সাদা করার কারবার।