সুনীত হালদার, হাওড়া: শিবপুরে জলবন্দি এলাকা ঘুরে দেখতে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভ টের পেলেন এলাকার বিধায়ক ও মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। জনপ্রতিনিধিকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেয় বামুনগাছির বাসিন্দাদের একাংশ। তা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।


বৃষ্টিতে জলবন্দি এলাকা দেখতে গিয়ে সপ্তাহব্যাপী জলযন্ত্রণা ভোগ করা বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল হাওড়ার শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারিকে। শনিবার নিজের নির্বাচনী এলাকায় বামুনগাছির নোনাপাড়াতে যান ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। জনপ্রতিনিধিকে সামনে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেয় স্থানীয়দের একাংশ। 


বামুনগাছির নোনাপাড়ার বাসিন্দা জানিয়েছেন, 'খুব বাজে অবস্থা আমাদের এখানে। সাঁলোর সামনে জল হয়ে যাচ্ছে। সাঁলোর মধ্যে জল ঢুকে যাচ্ছে। ১০-১২ দিন ধরে যদি আমরা সাঁলো বন্ধ রাখি, তাহলে আমাদের ব্যবসা চলবে না। সঙ্গে কোভিড। মানুষ কোভিড সামলাবে না জল সামলাবে? ভীষণ বাজে অবস্থা। আমার ঘরেও ৭দিন জল ঢুকেছিল।


স্থানীয় সূত্রে খবর, দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে, সেই ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে জল জমে রয়েছে হাওড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নোনাপাড়া এলাকায়। বেশিরভাগ বাড়িতেই জল ঢুকেছে। নোংরা জলে থইথই করছে ঘরগেরস্থালি। কোনও কোনও ঘরে আবার কোমর সমান জল। 


শিবপুর বামুনগাছির বাসিন্দা ভারতী হাজরা জানিয়েছেন, আমাদের ঘরে প্রচুর জল, প্রচুর জল। পাম্প দিয়ে বের করতে হচ্ছে।


শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির কথায়, এলাকার বাসিন্দারা কষ্টে আছেন। জল নামাতে বার বার হাওড়া পুরসভাকে বলেছি। পুরসভাও চেষ্টা করছে জল নামাতে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে ফের জল জমে যাচ্ছে। বর্ষা কেটে গেলে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নর্দমা ও খাল পরিষ্কারের ব্যবস্থা করাব।


হাওড়া সদরের ভারতীয় যুব মোর্চার সভাপতি ওমপ্রকাশ সিংহ জানিয়েছেন, আজ মন্ত্রী গেছেন মানুষের সঙ্গে কথা বলতে। এতদিন কী করছিলেন? আজ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। এরপর তাড়া করবে। প্রায় তিন বছর হাওড়ায় পুরনির্বাচন নেই। তিনি এ ব্যাপারে নীরব কেন? ক্ষোভ আর বিতর্কের মুখে দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুরকর্তৃপক্ষ। 


হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহের শুরুতেই প্রবল বর্ষণের কথা বলা হচ্ছে। তার জন্য একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বেলগাছিয়া এলাকায় আটটি বড় সাকশন পাম্প বসানো হচ্ছে যাতে জল দ্রুত নেমে যায়। এছাড়াও সেস পুলের মাধ্যমে জমা জল তুলে নেওয়া হবে। এলাকা কত দ্রুত জমাজলমুক্ত হয়, সেদিকে তাকিয়ে স্থানীয়রা।