সুনীত হালদার, হাওড়া: বেআইনি (illegal) অভিযোগে বাড়ি ভাঙতে গিয়ে হাওড়া পুরসভার (Howrah Municipality) অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতির সৃষ্টি হল। আগাম নোটিস (notice) ছাড়াই ভাঙা হল বাড়ি? না কি অন্য় অভিযোগ?
'বেআইনি বাড়ি', ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পুলিশ
বিশাল বিশাল হাতুড়ির দুমদাম দাপট, ভেঙে পড়ছে বাড়ির ছাদের একাংশ। অন্যদিকে কখনও রাস্তায় শুয়ে পড়ে তো কখনও পুলিশের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে বাড়ির ভাঙতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের।
অভিযোগ বাড়ির কিছু অংশ বেআইনি। সেই কারণে ভেঙে ফেলা হচ্ছে বেআইনি অংশ। বেআইনি অংশের অভিযোগে সাততলা বাড়ির একাংশ ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হল পুরসভা ও পুলিশকে। তাদের কাজের পথে রাস্তায় শুয়ে পড়ে আটকানোর চেষ্টা করেন বাসিন্দারা।
কিন্তু পরে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে ভেঙে দেওয়া হল ওই বহুতলের ২টি তলা। যদিও আগাম নোটিস ছাড়াই বাড়ি ভাঙার অভিযোগ উঠছে। অন্যদিকে বারবার নোটিস পাঠিয়েও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে দাবি পুরসভার। বারবার নোটিস পাঠিয়েও কোনও উদ্যোগ চোখে না পড়ায় মূল কাঠামো ঠিক রেখে বেআইনি অংশ ভাঙা হয়েছে বলে দাবি পুর প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যানের।
অন্যদিকে গতকালই কাশীপুরে রতনবাবু ঘাট সংলগ্ন ৮টি বাড়িতে ফাটল দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার থেকে বাড়িতে ফাটল ধরতে শুরু করে। এরপর চন্দ্রকুমার রায় লেনে রাস্তার একটি বড় অংশ ধসে যায়। বিপদের আশঙ্কায় ৮টি বাড়ি খালি করে দেওয়া হয়েছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্থানীয় স্কুলে। এদিন ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কার্তিকচন্দ্র মান্না। পরিদর্শনে যান পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। মাটির নীচে সুড়ঙ্গে ফাটল ধরে গঙ্গার জল ঢুকে ফাটল ধরেছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি পুরসভা সূত্রে খবর, দিনসাতেক আগে গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে এই এলাকায় একটি নিকাশি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার জেরেই ফাটল কিনা, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।