হাওড়া: কাকভোরে হাওড়ার বাগনানে ঘটে গিয়েছে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড (Howra Murder)। শিশুকন্যার সামনে দুষ্কৃতীরা এক মহিলাকে গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ (Woman Murdered)। ওই মহিলা ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) অভিনেত্রী রিয়া কুমারি (Riya Kumari) বলে জানা গিয়েছে।  মহিলার স্বামী ঘটনার সময় গাড়ি থেকে নেমে শৌচকর্ম সারতে গিয়েছিলেন। তিনিই জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী রিয়া কুমারী ওরফে ইশা আলিয়া ঝাড়খণ্ডের অভিনেত্রী। তাঁকেই গুলি করে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। 


শিশুকন্যার সামনে দুষ্কৃতীরা এক মহিলাকে গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ


বুধবার ভোরে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় আসার সময় খুন হন রিয়া কুমারি। আড়াই বছরের শিশুকন্যা এবং স্বামী প্রকাশ কুমারের সঙ্গে নিজেদের গাড়িতে চেপে আসছিলেন রিয়া।  প্রযোজক হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছেন প্রকাশ। তাঁর দাবি, ভোর ৫.৩০টা নাগাদ মহিষরেখা সেতুর কাছে তিনি গাড়ি থামান। শৌচকর্ম সারতে যান। সেই সময় চড়াও হয় তিন ছিনতাইকারী। রিয়া বাধা দিতে গেলে, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাঁকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রিয়ার কানের পাশে গুলি লাগে।


আরও পড়ুন: Howrah Murder: গাড়ি থামিয়ে শৌচকর্ম সারতে বেরিয়েছিলেন, বাগনানে দম্পতির উপর চড়াও দুষ্কৃতীর দল, শিশুকন্যার সামনে গুলি করে খুন মহিলাকে!


জাতীয় সড়কের উপর কাকভোরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে প্রকাশ জানিয়েছেন, ঘটনার পর রাস্তায় একটি মানুষও দেখতে পাননি তিনি। কোনও রকম সাহায্যের অবকাশ চোখে পড়েনি। তাই রক্তাক্ত স্ত্রীকে নিয়েই গাড়ি চালিয়ে এগিয়ে যান প্রায় আড়াই কিলোমিটার।  রাজাপুর থানার পীরতলায় পৌঁছে একটি চায়ের দোকানের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে স্থানীয়দের সবকিছু জানান। এর পর এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেন।


জাতীয় সড়কের উপর কাকভোরে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে


ওই এলাকার মানুষ জনই রিয়াকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এর পর হাসপাতালে পৌঁছয় পুলিশ। কিন্তু এই ঘটনায় প্রকাশকে সন্দেহের নজরে দেখছে পুলিশ। যে নির্জন জায়গায় তিনি গাড়ি দাঁড় করান, তার পর ছিনতাইয়ের যে ঘটনা বর্ণনা করেছেন তিনি, তা সন্দেহজনক ঠেকছে পুলিশের। তাই এ দিন দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। প্রকাশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করাচ্ছে পুলিশ। রিয়াকে খুনের নেপথ্যে শুধুমাত্র ছিনতাইয়ে উদ্দেশ্য ছিল, এই তত্ত্বে খটকা লাগেছে পুলিশের।