সুনীত হালদার,হাওড়া: পাঁচলার ধুলোরবাধ এলাকায় বাসের সঙ্গে লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ (Howrah Road Accident)। আজ বিকেল পৌনে ছটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনায় বাসের চালক, লরির চালক এবং এক মহিলা যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহতদের সংখ্যা কমপক্ষে ৩০।
জানা গিয়েছে, মুচিপাড়া করুণাময়ী রুটের একটি বেসরকারি বাস রানিহাটি আমতা রোড ধরে যখন হাওড়ার দিক থেকে আমতার দিকে যাচ্ছিল সেই সময় উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি বাসের সামনের অংশে মুখোমুখি ধাক্কা মারে। আহতদের গাববেরিয়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পাঁচলা থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান লরিটি বেপরোয়া চালানোর ফলেই এই দুর্ঘটনা। এদিকে একইদিনে রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন গাইঘাটার দিক থেকে হাবড়ার দিকে স্কুটি করে যাচ্ছিল স্বামী-স্ত্রী। সেই সময় কলাসীমা এলাকায় পিছন দিক থেকে একটি লরি এসে ধাক্কা মারে এবং লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুজনের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু সময়ের জন্য এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়, গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘাতক গাড়ি পালাতক।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ঘটে চলা দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কয়েকদিন আগেই বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় হাওড়ার এক দম্পতির। মধ্যরাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের শলপ ব্রিজে। দিদির বাড়ির পুজোতে গিয়ে ফেরার পথেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজ থেকে ছিটকে সার্ভিস রোডে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। বেপরোয়া ভাবে বাইক চালানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। পাশাপাশিউত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে যাত্রী নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে কারখানায় ঢুকে পড়ে একটি বাস। জানা গিয়েছে, ওই বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক মহিলা যাত্রী। আহত হয় ২০ জনেরও বেশি। তারপর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর। পুরুলিয়ার নিতুরিয়া থানার নিমডাঙা গ্রামের কাছে ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে নদিয়ার মতোই পুরুলিয়ার ওই এলাকায় টানা সড়ক অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিশাল পুলিশবাহিনী।
আরও পড়ুন, 'গরু পাচারকাণ্ড ন্যাশনাল ক্রাইম,' অনুব্রত ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া রাহুল সিনহার
মূলত রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মাইকিং, অনুষ্ঠান, পোস্টার, ব্যানার করে সকল সচেতন করছে পুলিশ প্রশাসন। তারপরেও বেপরোয়া ড্রাইভের নেশা ছাড়তে পারেননি অনেকেই। অনেকেই বাইরে বসে হেলমেট পড়ছেন না। গাড়িতে বসে সিট বেল্ট বাধছেন না। নিয়ম বিধি না মেনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে রাজ্যের বাসিন্দারা।