কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Scam) আজ জেল হেফাজত হয়েছে  অনুব্রত মণ্ডলের। আসানসোলের সিবিআই আদালতের নির্দেশের পরেই তাঁকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয় এদিন। এদিকে সিবিআই হানার পর ইতিমধ্যেই বোলপুরে অনুব্রত-র একের পর এক রাইসমিলের হদিশ মিলেছে। অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তিও নজরে রেখেছে সিবিআই। আর এহেন মুহূর্তেই বিস্ফোরক রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। 

  


 গরু পাচারকাণ্ড ন্যাশনাল ক্রাইমঃ রাহুল সিনহা


এদিন রাহুল সিনহা বলেন, 'এগুলি একদম সঠিক অভিযোগ। গরু পাচারকাণ্ড ন্যাশনাল ক্রাইম। জাতীয় সম্পত্তিকে বিদেশে পাচার করা, এথেকে বড় ন্যাশনাল ক্রাইম আর হতেই পারে না। অতয়েব আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের মান-সম্মানকে নষ্ট করা এবং জাতীয় সম্পত্তিকে বিদেশে পাচার করা। দ্বিতীয়ত, যেভাবে মাত্র একটা মাছওয়ালা থেকে ৫ হাজারকোটি টাকার মালিক হয়ে গেলেন, যেভাবে তার সম্পত্তি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে তৈরি হয়েছে এবং যেভাবে তিনি হাসপাতালকে বাধ্য করলেন বিশ্রামে আসবার রিপোর্ট দিতে। এরসঙ্গে ডিএমও জড়িতে আছে। অতয়েব ডিএম যার কথায় ওঠে বসে, এসপি যার কথায় ওঠে বসে, সেই ব্যাক্তির থেকে আর বেশি প্রভাবশালী আরও কে হতে পারে। জেলার একজন সভাপতি তার যদি এত ক্ষমতা থাকে ! এখন তো জানা যাচ্ছে, কয়লা চুরি সঙ্গেও যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বালি খাদানের সঙ্গেও তার যোগাযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অর্থাৎ রাজ্যে যত অপরাধ আছে, সব অপরাধের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে।  


প্রসঙ্গত, পার্থ-অর্পিতার পর এবার অনুব্রতর  অ্যাকাউন্টেও মিলেছে কোটি কোটি টাকা। অনুব্রতর কাছ থেকে প্রায় ১৭ কোটি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই।  প্রায় ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অনুব্রত-সহ ঘনিষ্ঠদের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার হদিশ। অনুব্রত-কে  নিয়ে সম্প্রতি বিস্ফোরক দাবি করেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তিনি বলেন, '৩-৪ কোটি হাজার টাকার মালিক অনুব্রত।  কাঁধে করে গরু নিয়ে পাচার করতেন অনুব্রত, তৃণমূলে সব লোকজন বলত, এমনটাই শুনতাম, বলে জানান বিজেপি নেতা। অনুব্রত-র ইস্যুতে তিনি আরও বলেন, 'যদি সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখি, দিনের শেষে আমরা মানুষ। উনি গ্রেফতার হয়েছেন। আস্তে আস্তে আরও অনেক জিনিস খুলবে। আরও রাঘব বোয়ালদের নাম বেরিয়ে আসবে। ততটাই কামাও, যতোটা ভোগ করতে পারবে। উনি এতটাই কামিয়ে ফেলেছেন, মানে আমাদের কাছে এখনও যা কাগজ পত্র জমা পড়েছে, তাতে করে উনি ৩ থেকে ৪ হাজার কোটি টাকার মালিক। এটা একটা রোগ। একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য কত টাকা লাগে ! উনি যা উপর্জন করেছেন , এরপরের ১০টা জেনারেশন বসে খাবে। যখন আমি তৃণমূলে ছিলাম, তখন আমি শুনতাম, বলতেন , আমার এক ঘর টাকা হবে।'


যদিও অনুব্রতকে গ্রেফতারের ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'অনুব্রতকে গ্রেফতার করলেন কেন ? কী করেছিল কেষ্ট ? কেষ্টকে জেলে আটকালে কী হবে ? ওদের এজেন্সির কিছু লোক রয়েছে, তাঁদের টাকা দিয়ে পোষে। মাঝরাতে কেন সিবিআই বাড়িতে ঢুকছে ? কেষ্টর বাড়িতে তাণ্ডব চালিয়েছে সিবিআই।'