সুনীত হালদার,হাওড়া: লরির ধাক্কায় মৃত্যু এক সাইকেল আরোহীর( Accident)। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে বেলগাছিয়ার বেনারস রোডে।পুলিশ সূত্রে খবর সাইকেলে চেপে সালকিয়ার বাজারে (Howrah Salkia)সবজি বিক্রি করতে আসছিলেন চামরাইলের বাসিন্দা বছর ষাটের সুকুমার মান্না। হঠাৎ একটি  বেপরোয়া লরি তাঁকে পেছন থেকে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।


এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে লিলুয়া থানার পুলিশ। পুলিশ লরিটিকে আটক করলেও চালক পলাতক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান লরিটি ওভারটেক করতে গিয়েই এই দুর্ঘটনা। প্রসঙ্গত,  রাজ্যের ঘটে চলা দুর্ঘটনার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কয়েকদিন আগেই বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়  হাওড়ার এক দম্পতির। মধ্যরাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে ডোমজুড়ের শলপ ব্রিজে। দিদির বাড়ির পুজোতে গিয়ে ফেরার পথেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ব্রিজ থেকে ছিটকে সার্ভিস রোডে পড়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই দম্পতির। বেপরোয়াভাবে বাইক চালানোর জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়।


পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে যাত্রী নিয়ে জাতীয় সড়কের ধারে কারখানায় ঢুকে পড়ে একটি বাস। জানা গিয়েছে, ওই বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এক মহিলা যাত্রী। আহত হয় ২০ জনেরও বেশি। তারপর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে  মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তিন মোটরসাইকেল আরোহীর। পুরুলিয়ার নিতুরিয়া থানার নিমডাঙা গ্রামের কাছে ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার পর থেকে নদিয়ার মতোই পুরুলিয়ার ওই এলাকায় টানা সড়ক অবরোধ করে গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামে বিশাল পুলিশবাহিনী।


সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগণার বুকে একই দিনে জোড়া দুর্ঘটনা ঘটেছে।গাইঘাটার দিক থেকে হাবড়ার দিকে স্কুটি করে যাচ্ছিল স্বামী-স্ত্রী। সেই সময় কলাসীমা এলাকায় পিছন দিক থেকে একটি লরি এসে ধাক্কা মারে এবং লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় দুজনের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু সময়ের জন্য এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়, গাইঘাটা থানার পুলিশ। ঘাতক গাড়ি ততক্ষণে পলাতক।


 আরও পড়ুন, 'চোরেদের রাণী কে ?' আলিপুরদুয়ারের সভায় প্রশ্ন শুভেন্দুর


মূলত রাজ্যে গত কয়েক বছর ধরে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ নিয়ে একাধিক কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। মাইকিং, অনুষ্ঠান, পোস্টার, ব্যানার করে সকল সচেতন করছে পুলিশ প্রশাসন। তারপরেও বেপরোয়া ড্রাইভের নেশা ছাড়তে পারেননি অনেকেই। অনেকেই বাইরে বসে হেলমেট পড়ছেন না। গাড়িতে বসে সিট বেল্ট বাধছেন না। নিয়ম বিধি না মেনে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছেন।