সুনীত হালদার, হাওড়া: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনা। উলুবেড়িয়ার খলিসানি ফ্লাইওভার দুর্ঘটনায় আহত ৪ পরীক্ষার্থী। চারজনকে আনা হয় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে। চারজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহত ৪ পরীক্ষার্থী: জানা গিয়েছে, উলুবেড়িয়া বাসুদেবপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্র আহতরা। পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল উলুবেড়িয়ার জগৎপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ৪ জনই একটি বাইকে ফিরছিল। ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের খলিসানি ফ্লাইওভারের উপর কলকাতাগামী লেনে বাইকে ধাক্কা মারে একটি লরি। ছিটকে পড়ে বাইকে সহ চারজন। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে উলুবেরিয়া মহকুমা হাসপাতালে।
এদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় স্ত্রী। তা কিছুতেই হতে দিতে চান না স্বামী। অভিযোগ, তাই গতকাল থেকে পরীক্ষার্থী বধূকে তালা দিয়ে রেখেছিলেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কোনও রকমে বাড়ি থেকে পালিয়ে পুলিশের সাহায্যে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছলেন ফরাক্কার সুলতানা খাতুন। পলাতক অভিযুক্ত স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। দুই স্বামীরই লক্ষ্য এক! স্ত্রী যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে। তার জন্য় ঘুমন্ত স্ত্রীর ডান হাত কেটে নিয়েছিলেন একজন। আর একজন ততটা নৃশংস না হলেও অ্যাডমিট কার্ড ছিনিয়ে নিয়ে তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন স্ত্রীকে। নষ্ট করে দিতে চেয়েছিলেন স্ত্রীর জীবন। কিন্তু স্বপ্নকে জয় করার অদম্য ইচ্ছে পূর্ব বর্ধমানের রেণু খাতুনের সঙ্গে মিলিয়ে দিল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী সুলতানা খাতুনকে।
সুলতানার স্বপ্ন, পড়াশোনা করে নিজের পায়ে দাঁড়াবে। অনেক আশা নিয়ে তাই, বিয়ের পরেও চালিয়ে যাচ্ছিল পড়াশোনা। কিন্তু সেই স্বপ্নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কাছের মানুষগুলোই। অভিযোগ, সুলতানা যাতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে না পারে, তার জন্য তাকে তালাবন্দি করে রেখেছিল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ফরাক্কার তিলডাঙা হাইস্কুলের ছাত্রী সুলতানা খাতুন। নিউ ফরাক্কা হাইস্কুলে তাঁর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিট পড়েছে। অভিযোগ, মঙ্গলবার প্রথম পরীক্ষা কোনওরকমে দিতে পারলেও অভিযোগ, বুধবার থেকে তাঁকে তালাবন্দি করে রাখা হয়। এদিন সকালে, কোনও রকমে সকলের নজর এড়িয়ে থানায় চলে যান সুলতানা। কিন্তু স্কুল ইউনিফর্ম, অ্যাডমিট কার্ড কিছুই সঙ্গে ছিল না। ছাত্রীর অভিযোগ শুনে তড়িঘড়ি তাঁর বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে এসে তাঁকে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন ফরাক্কা থানার পুলিশ কর্মীরা।পুলিশ জানিয়েছে, সুলতানার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Recruitment Scam: 'আমার কাছে কোনও টাকা পৌঁছায়নি, কুন্তল-শান্তনুকে চিনি' দাবি 'কালীঘাটের কাকুর'