সুনীত হালদার,হাওড়া: ফের সাইবার প্রতারণার (Fraud Case) ঘটনা হাওড়া শহরে। অবসরপ্রাপ্ত এক রেলকর্মীর দুটি অ্য়াকাউন্ট থেকে উধাও ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ব্যাঁটরা থানার অন্তর্গত কদমতলা সারদা চট্টোপাধ্যায় লেনে। সাইবার ক্রাইম (Cyber Crime Department) বিভাগে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সেকশন ইঞ্জিনিয়ার রামগোপাল সরকারের স্ত্রী পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। গত ২৫ তারিখ দুপুরে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি মিনতি সরকারকে ফোন করে বলেন, তার স্টেট ব্যাংকের এটিএম কার্ডটি চলতি মাসেই মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। তাই নতুন এটিএম কার্ড পেতে গেলে তাদের বেশ কিছু তথ্য জানাতে হবে । তাঁকে একই সঙ্গে জানানো হয়, তাঁর আরেকটি একাউন্টের এটিএম কার্ড আগামী বছর মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। সেটিরও একইসঙ্গে নতুন করে কার্ড দেওয়া হবে। এরপর মিনতি দেবী তার নিজের এটিএম কার্ডের তথ্য ওই ব্যক্তিকে দিলে তার ফোনে একটি ওটিপি আসে। তারপরেই এক এক করে এসএমএস আসতে থাকে। তার একাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়ার। মুহূর্তের মধ্যে তার সেভিংস এবং পেনশন দুটি অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হয়ে যায় এক লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। সঙ্গে সঙ্গে তারা ছুটে যান স্থানীয় এসবিআই শাখায়। দুটি অ্যাকাউন্ট সাময়িক বন্ধ করার সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানান, স্থানীয় ব্যাঁটরা থানায় ও হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে। এখন অবসর জীবনে এত বড় ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা ওই পরিবার।
আরও পড়ুন, 'সৌজন্যতাকে দুর্বলতা ভাবার প্রশ্ন নেই', মমতা-শুভেন্দু সাক্ষাত ইস্যুতে মন্তব্য ফিরহাদের
বিগত কয়েক বছর ধরেই দেশে সাইবার অপরাধের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে। ডিজিটালাইজেশন যত দ্রুত হচ্ছে, ততই সাইবার প্রতারকরা নয়া নয়া ছক কষে প্রতারিত করছে লোকজনকে। এক্ষেত্রে কোনও রকম ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের সময় নেট ব্যাঙ্কিং, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ইউপিআই পেমেন্ট ব্যবহারের সময় খুবই সতর্ক থাকার প্রয়োজন। ছোট কোনও ভুলেও অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যেতে পারে।কোনও ধরনের স্প্য়াম মেসেজ ইমেলের ভুলেও রেসপন্স করা উচিত নয়। এই ধরনের মেসেজ মোবাইল বা ল্য়াপটপ থেকে দ্রুত ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেটে কোনওভাবে ব্যাঙ্ক বা পার্সোনাল ডিটেলস চাইলে ভুল করেও শেয়ার করবেন না। এমনটা করলে সমস্যায় পড়তে পারেন।কোনও ধরনের লটারির প্রলোভন, পুরস্কারের চক্করে ভুল করেও পড়বেন না। আজকাল প্রতারকরা বিভিন্ন ধরনের অফারের লোভ দেখিয়ে লিঙ্ক পাঠায়। এরপর তা ওপেন করার পর ব্যক্তিগত তথ্য ও ব্যাঙ্কের বিস্তারিত তথ্য দিতে বলা হয়। এমনটা কোনওভাবেই করবে না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারের সময় খুবই সাবধান থাকতে হবে। ইদানিং হোয়াটস্যাপ, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের লিঙ্ক পাঠানো হয়ে থাকে। এই সব লিঙ্ক ক্লিক করলে সাইবার অপরাধী মোবাইলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। তাই সতর্ক থাকবেন। তবে ট্রু কলারকে ব্যবহার করেও ইদানিংকালে প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে শহর কলকাতায়।