সৌমিত্র রায়, শিবাশিস মৌলিক, হাওড়া-বালি : বালিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ২ দিন পার। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত বাসু চৌধুরী। অভিযুক্ত ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে। পুলিশ সূত্রে খবর, এমনই অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবারের পর শনিবার রাতেও বালি, বেলুড়, লিলুয়ার বিভিন্ন গোপন ডেরায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। অভিযুক্ত বাসু চৌধুরীর বাড়ির সামনে বসেছে পুলিশ পিকেট। কিনতু ইমারতি দ্রব্য ব্যবসায়ী বাসু চৌধুরীর এখনও নাগাল পাওয়া যায়নি। 

Continues below advertisement


হামলার নেপথ্যে বড় কোনও মাথা রয়েছে। হাওড়ার বালিতে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে গুলি করার ঘটনায় বিস্ফোরক আক্রান্তের পরিবার। ঘটনার পর ২ দিন পার হতে চললেও, এখনও মূল অভিযুক্ত বাসু চৌধুরীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এই অবস্থায় আতঙ্কে রয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতার পরিবার। অন্যদিকে এই ইস্যুতে তরজা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে রবিবার, প্রায় ৩ দিন হতে চললেও, এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী বাসু চৌধুরী। আর এই আবহেই বিস্ফোরক গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার পরিবার।


বৃহস্পতিবার রাত, ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত সাড়ে দশটা। বালির জনবহুল রাস্তায়, তৃণমূল পরিচালিত সাঁপুইপাড়া বসুকাটি পঞ্চায়েতের প্রধান দেবব্রত মণ্ডলকে পরপর গুলি করতে দেখা যায় আততায়ীকে। প্রথম থেকেই এই ঘটনায়, তৃণমূল নেতার পরিবার ও প্রত্য়ক্ষদর্শীদের দাবি, হামলাকারীর নাম বাসু চৌধুরী। যদিও, এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ। তবে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার পরিবারের স্পষ্ট দাবি, এই কাজ একা বাসু চৌধুরীর নয়। নেপথ্যে রয়েছে আরও বড় কোনও মাথা। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত প্রধান। ঘটনার নেপথ্যে কোনও বড় মাথা রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরই পরিবারের সদস্যরা। বৃৃহস্পতিবার রাতে, তৃণমূল নেতা দেবব্রত মণ্ডল যাঁর মোটরবাইকে চেপে আসছিলেন, গুলি লাগে সেই তৃণমূল কর্মী অনুপম রানারও। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান তিনি। সেই ঘটনার পর থেকে আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁকেও। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রবিবার এই ঘটনার প্রতিবাদে বালিতে মিছিল করে বিজেপি। 


বালিতে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা, এখনও অধরা আততায়ী। বিক্ষোভ বিজেপির। 'রাস্তায় গুলি করেছে, এবার বাড়িতে এসে মারবে', আতঙ্কে আক্রান্তের পরিবার। 'আমরা আইন হাতে তুলে নিলে, আমরাও গুলি করতাম। কেউ হয়তো আততায়ীকে কাজে লাগিয়েছে। এত লোক ছিল, কেউ কি বাঁচাতে গেছে? এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা নেই', সরব গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার ভাই। ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিতে পারে আততায়ী, অনুমান পুলিশের। বালি, বেলুড়, লিলুয়ার একাধিক জায়গায় তল্লাশি পুলিশের। 


গত ২৭ নভেম্বর, জনবহুল রাস্তায় পঞ্চায়েত প্রধানকে পরপর গুলি। গুলিবিদ্ধ হন পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গী তৃণমূল কর্মী অনুপম রানাও। হামলার পর নিশ্চিন্তে হেঁটে হেঁটে চলে যায় আততায়ী। হামলাকারী বাসু চৌধুরী, দাবি জখম তৃণমূল নেতার পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের। কিন্তু যে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তা হল, মূল আততায়ী গেল কোথায়? তবে কি রাজ্য ছে়ড়ে ভিনরাজ্যে পগারপার মূল অভিযুক্ত? ইতিমধ্যেই তাঁর খোঁজে, বালি, বেলুড়, লিলুয়ার একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।