ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: থামল জীবনযুদ্ধ। প্রায় মাসখানেক লড়াই করে শেষমেশ মৃত্যু হল বেলুড়ের (Belur) অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণীর। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।


অ্যাসিড আক্রান্ত তরুণীর মৃত্যু: নিজেরই বোনের হাতে অ্যাসিড আক্রান্ত হয়ে প্রায় এক মাসেরও বেশি লড়াই করে হার মানলেন বেলুড়ের ভোটবাগানের তরুণী। গত ২১ আগস্টের রাতে ঘুমের মধ্যে ওই তরুণী ও তাঁর বোন ঘুমিয়ে ছিলেন। প্রথমে অভিযোগ ওঠে সেই সময় ঘরের ঘুলঘুলি দিয়ে তাঁদের গায়ে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয়। রাতেই অভিযোগ দায়ের করা হয় বেলুড় থানায়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেন। পরে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরাও পরীক্ষা করেন ঘটনাস্থল। কিন্তু কেউই বাইরে থেকে অ্যাসিড ছোঁড়ার কোনও প্রমাণ পাননি। এরই মধ্যে অ্যাসিড হামলায় গুরুতর জখম তরুণীকে প্রথমে জয়সওয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর  হাওড়া হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ঘুরে দক্ষিণ কলকাতার বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই এতদিন তাঁর চিকিৎসা চলছিল। শরীরের অনেকটা অংশ অ্যাসিডে পুড়ে যাওয়ায় প্রথম থেকেই খুবই সঙ্কটজনক অবস্থায় ছিলেন তরুণী। শেষমেশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর।


এদিকে ঘরের বাইরে থেকে অ্যাসিড হামলার প্রমাণ না পেয়ে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। শেষ পর্যন্ত আক্রান্ত তরুণীর ছোট বোন স্বীকার করে সেই দিদির উপর রাগ থেকে এই কাণ্ড ঘটিয়েছিল। গত ২৮ আগস্ট গ্রেফতার। ওইদিনই তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হলে আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজত হয়। কিন্তু ঠিক কি কারণে অভিযুক্ত তরুণী নিজের দিদির ওপর এমন প্রাণঘাতী হামলা করল তা এখনও স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল দিদির সঙ্গে বোনের নানা ব্যাপারে ঝামেলা লেগে থাকত। খাবার থেকে শুরু করে অন্য অনেক কিছু নিয়েই দুই বোনের বিবাদ হত। তবে শুধু এত তুচ্ছ কারণেই এই অপরাধ ঘটায় ২১ বছরের তরুণী না কি নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে তা খতিয়ে দেখছেন। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: Sandip Ghosh:সন্দীপ ঘোষের নামের পাশ থেকে উধাও 'সাসপেন্ডেড' স্টেটাস! চিকিৎসক সংগঠনের দাবিতে বিতর্ক