সুনীত হালদার,  উলুবেড়িয়া (হাওড়া): পুরভোটের আগে উলুবেড়িয়ায় বিজেপিতে ধাক্কা। তৃণমূলে যোগ দিলেন হাওড়া গ্রামীণের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম রায়। তিনি ছাড়াও বিজেপি ও অন্যান্য দল থেকে আরও ৭০০ জন শাসক দলে নাম লেখালেন। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে তরজা।
পুরভোটের আগে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন ধরল।শিবির বদলালেন হাওড়া গ্রামীণের প্রাক্তন সভাপতি গৌতম রায়।রবিবার উলুবেড়িয়ায় পঞ্চায়েতমন্ত্রী পুলক রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন তিনি।বিজেপির হাওড়া গ্রামীণের দু’বারের সভাপতি, উলুবেড়িয়ারও দায়িত্বে ছিলেন।ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েই, পুরনো দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন দলত্যাগী নেতা।
তৃণমূলে যোগদানকারী বিজেপি নেতা গৌতম রায় বলেছেন, বিজেপিতে পুরনো কর্মীদের কোনও সম্মান নেই, তাই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলাম।
শুধু প্রাক্তন সভাপতিই নন, তাঁর সঙ্গেই তৃণমূলে নাম লেখালেন বিজেপি ও অন্যান্য দল থেকে আরও ৭০০ জন নেতা-কর্মী।পঞ্চায়েতমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা পুলক রায় বলেছেন, রাজ্যের উন্নয়নে সামিল হতে গৌতমবাবু তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, উলুবেড়িয়া পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস সবকটি আসন জিতবে।
তবে পুরভোটের আগে এই দলবদলকে গুরুত্ব দিচ্ছে না গেরুয়া ব্রিগেডের জেলা নেতৃত্ব। বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ সভাপতি অরুণোদয় পালচৌধুরী বলেছেন, গৌতমবাবু দল ছাড়ায় তাতে কোনও প্রভাব পড়বে না। তিনি ব্যক্তিগত প্রলোভনে দল ছেড়েছেন, বিজেপি উলুবেড়িয়া পুরসভার বোর্ড দখল করবে।
গত বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ৩২ আসনের উলুবেড়িয়া পুরসভায় তৃণমূল এগিয়ে ১৯টি ওয়ার্ডে।বাকি ১৩টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ২৭ তারিখ পুরভোটে এই দলবদলের কোনও প্রভাব পড়ে কিনা সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য, গত বছরের বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূলের অনেক নেতা, কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তারপর বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছিল তৃণমূল। তারপর থেকে ফের উল্টোস্রোত দেখা যাচ্ছে। বিজেপি সহ অন্যান্যা দল থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা সারা রাজ্যেই দেখা যাচ্ছে। হাওড়াও তার ব্যতিক্রম নয়। দল বদলের জেরে ইতিমধ্যেই কয়েকটি পঞ্চায়েত বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে জেলায়। এবার পুরভোটের আগে উলুবেড়িয়ার বিজেপিতে ভাঙন ধরল।