সৌমিত্র রায়, হাওড়া: ছুটির দিনে ভরদুপুরে বহুতল থেকে উদ্ধার জোড়া দেহ (Dead Bodies)। তাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট (Howrah Murder) এলাকায়। মৃত দম্পতি ওই বহুতল আবাসনে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রীর ফেসবুক আসক্তি নিয়ে বিরক্ত ছিলেন গৃহকর্তা। তা নিয়ে অশান্তি লেগেই থাকত। তবে এটি আত্মহত্যার ঘটনা নাকি খুনের, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।  


হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট এলাকার নন্দলাল মুখার্জি লেনের ঘটনা। রবিবার দুপুরে সেখানকার একটি বহুতল আবাসনের নীচের তলার ঘর থেকে গৌতম মাইতি এবং মৌসুমী মাইতি নামের ওই দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে ঘরের দরজা বন্ধ পায় মৃত দম্পতির দুই মেয়ে। ডাকাডাকি করে সাড়া না মেলায় প্রতিবেশিদের কাছে ছুটে যায় তারা।


দুই মেয়ের চেঁচামেচি এবং কান্নাকাটি শুনে ছুটে আসেন আশেপাশের মানুষও। ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। তাতেই ঘরের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় গৃহকর্তার নিথর দেহ দেখতে পান। মেঝেয় চাদরে মোড়া অবস্থায় পড়ে ছিল স্ত্রীর দেহ।


আরও পড়ুন: Hooghly News: রক্ত নিয়ে হাসপাতালে ফেরার পথে ভয়াবহ দুর্ঘটনা! গাড়ি কেটে উদ্ধার ব্লাড ব্যাঙ্কের ৩ কর্মী, মৃত


এর পর পাড়া প্রতিবেশিরাই চ্যাটার্জিহাট থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেু দু’টি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, মহিলার দেহে আঘাতের চিহ্ন ছিল। চাদরমোড়া অবস্থায় পুলিশ যখন তাঁর দেহ বার করে নিয়ে যাচ্ছিল, তাতে চাপ চাপ রক্তের ছোপ দেখা যায়।


পুলিশ যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। তবে মৃত দম্পতির দুই মেয়ে জানিয়েছে, ফেসবুক আসক্তি ছিল মায়ের, যা একেবারেই পছন্দ করতেন না তাদের বাবা। সেই নিয়ে ঝগড়া-অশান্তি লেগেই থাকত। স্থানীয়দেরও একই বক্তব্য। তাঁরা জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া আসেন মৃত দম্পতি। ফেসবুক করা নিয়ে প্রায়শই অশান্তি হতো তাঁদের মধ্যে।


ওই দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি খুন হয়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্ত্রীকে খুন করে গৃহকর্তা আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন বলে প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।