নয়া দিল্লি: এই পৃথিবীতে রোজই কত কিছুই না ঘটছে। কত অজানা বিষয়কে আয়ত্তে আনার চেষ্টা করছে বিজ্ঞান। তেমনই এক অদেখাকে দেখা গেল সমুদ্রে। যাকে শেষবারের মতো দেখে গিয়েছিল ২২ বছর আগে। অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে। এরপর ২০২১ এর শেষ লগ্নে ফের দেখা মিলল এই বিরল ও বিলুপ্ত প্রাণীটির। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় বিজ্ঞান সংস্থা, কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (সিএসআইআরও) এই খবরটি নিশ্চিত করছে। 


তাসমানিয়ার উপকূলের কাছে আবারও দেখা গেছে বিরল গোলাপি হ্যান্ডফিশ। চলতি ভাষায় বলতে গেলে, 'পায়ে হাঁটা মাছ'। পাখনাগুলিকে পায়ের মতো করে দিব্যি উপকূল তলদেশে হেঁটে বেড়াচ্ছে মাছটি। এই মাছটিকে আগেই বিরল তকমা দেওয়া হয়েছিল। CSIRO জানায়, এমন 'পায়ে হাঁটা' মাছ আগে দক্ষিণ থেকে উত্তর-পূর্ব তাসমানিয়ার সমুদ্র উপকূলে দেখা যেত। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা কমতে থাকে।              


২০১২-তে এই প্রজাতিটিকে পরিবেশ সুরক্ষা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ আইন (EPBC)-এর অধীনে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীর তালিকায় রাখা হয়েছে।  দীর্ঘ ২২ বছর পর্যবেক্ষণ এবং সংরক্ষণের পরে, এই বিশেষ মাছগুলি তাসমানিয়ান উপকূলে দেখা গেছে। বৃহত্তর পরিসরে এই প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী। গোলাপী হ্যান্ডফিশের বিশেষত্ব হল তাদের শরীরের প্রতিটি পাশে দুটি প্রসারিত পাখনা রয়েছে যা দেখতে ছোট হাতের মতো। আসলে এই মাছের কোনও পা নেই। পাখনাগুলিকে পায়ের মতোই ব্যবহার করে মাছটি।          


আরও পড়ুন, "করিনা-সেফের ছেলের পুরো নাম কী?" সাধারণ জ্ঞানের পরীক্ষায় আজব প্রশ্ন! স্কুলকে নোটিস


সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের একটি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, তাসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ অ্যান্টার্কটিক অ্যান্ড মেরিন স্টাডিজের অধ্যাপক নেভিল ব্যারেট এই মাছটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "আমরা মনে করছি এখনও এই উপকূলে মাঝারি সংখ্যায় এই মাছের প্রজাতির বাস রয়েছে। সাধারণত এরা খুব ঠান্ডা জলেই থাকতে পছন্দ করে। বেশ কিছুক্ষণ এক জায়গায় অবস্থানও করে।"