সুনীত হালদার, সাঁকরাইল (হাওড়া) : ফের শাসকের সালিশি। এবার হাওড়ার সাঁকরাইল । পারিবারিক অশান্তি মেটানোর নামে হাওড়ার সাঁকরাইলে চলল তাণ্ডব। ব্যবসায়ীকে মারধর, বাড়ি ভাঙচুর ও লুঠপাটের অভিযোগ উঠল তৃণমূল উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। প্রায় দেড়শো অনুগামী নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ শাসক নেতার বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্র, লাঠি, রড নিয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ঘটনার বিস্তার...
সাঁকরাইল থানার (Sankrail PS) অন্তর্গত কান্দুয়ার ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন সেপাইয়ের তাঁর মেয়ের বিয়ে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। কিছুদিন আগে স্ত্রী রাগ করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে নিজের বাপের বাড়ি চলে যান। গতকাল সন্ধেয় সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সালিশি সভা ডাকা হয়। সেই সময় পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান শেখ খলিল আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক আসে। তারা আলোচনার পর শাহাবুদ্দিনকে গালিগালাজ এবং মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর খলিল ফোন করে তাঁর দলকে ডাকে। সেই সময় ঘটনাস্থলে দু'টি ম্যাটাডর এবং ৫০টি বাইকে করে প্রায় ১৫০ ছেলে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়। তাদের অধিকাংশের হাতে লাঠি, রড, ছুরি এবং ভোজালি ছিল বলে অভিযোগ। তারা ওই বাড়িতে চড়াও হয়ে হামলা চালায়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। তিনিও ভয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান শাহাবুদ্দিন। এরপর হামলাকারীরা কিছুটা দূরে তাঁর ভাইপোর বাড়িতে পৌঁছায়। শাহাবুদ্দিন সেই বাড়িতে লুকিয়ে আছেন, এই সন্দেহে সেই বাড়িতেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা। আলমারি ভেঙে ৪০ হাজার টাকা নগদ, সোনার গয়না এবং দামি মোবাইল সেট সহ যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলার ছবি ভাইরাল হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন ঘটনায় খলিল আহমেদের বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন ; বিয়ের ২ -৩ মাসেই বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা, 'TMC পার্টি অফিসে সালিশি সভা' ! না যেতেই..
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।