সুনীত হালদার, হাওড়া: উলুবেড়িয়ার সিজবেড়িয়া ২৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা তৃণমূল নেত্রী রুকসানা বেগমের বাড়িতে চুরি। গতকাল গভীর রাতে বাড়ির বাসিন্দারা যখন ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় জানালা ভেঙ্গে রাসায়নিক স্প্রে করে বাড়িতে ঢোকে চোরেরা। এমনটাই অভিযোগ রুকসানার। এরপর প্রায় ২৪ হাজার টাকা নগদ ও একটি স্মার্ট ফোন নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। 


আজ সকালে চুরি যাওয়া ফোন থেকে ফোন আসে রুকসানার বাড়িতে। ১০ হাজার টাকা নিয়ে ফুলেশ্বর স্টেশন এলে চুরি যাওয়া ফোন ও চোরকে হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু যখন রুকসানা ফুলেশ্বর স্টেশনে যান তখন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার পর উলুবেড়িয়া থানার লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করে ওই পরিবার। উল্লেখ্য ওই পরিবারে আগেও একবার চুরির ঘটনা ঘটে। থানার পাশে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও বারবার কিভাবে চোরেরা ওই বাড়িতে চুরি করছে তা নিয়ে চিন্তায় গোটা পরিবার। পুলিশকে জানানো সত্ত্বেও বাড়িতে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের লোকেরা। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য উলুবেড়িয়ার সিজবেড়িয়াতে।


এর আগে, গতকাল পশ্চিম বর্ধমানের (west burdwan) জামুড়িয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছিল। জামুড়িয়া ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুকুমার ভট্টাচার্যের বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ। কিন্তু কারা এই কাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে তার কোনও হদিশ এখনও পাওয়া যায়। পুলিশ অভিযুক্তদের খুঁজছে।


পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল রাত ৩টে নাগাদ তাঁর অন্ডালের বাড়িতে ৫-৬ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী জানলা ভেঙে ঢোকে। সে সময় বাড়িতে ছিলেন তৃণমূল নেতার  স্ত্রী ও ছেলে। আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।  


এদিকে, কিছুদিন আগে শহর কলকাতায় এক অদ্ভুত ডাকাতির খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। ডাকাতির (Beleghata Dacoity) তদন্তে নেমে সরষের মধ্যেই ভূত খুঁজে পেল পুলিশ (Kolkata News)। মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ডাকাতদল টাকা-সোনা চুরি করে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন বেলেঘাটা নিবাসী এক মহিলা। তাঁকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ করেন। তদন্তে নেমে ডাকাতি কাণ্ডের সর্দার হিসেবে তাঁরই স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। স্ত্রীর কাছে প্রচুর টাকা রয়েছে ভেবে তিনিই ভাড়াটে গুন্ডা লাগিয়ে ডাকাতির ছক ফাঁদেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।