সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশ থেকে বাংলায় ফেরার সময় মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান বিভ্রাট নিয়ে এবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অবস্থান জানাতে নির্দেশ কেন্দ্রকে।  প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য কী ব্যবস্থা’?                                         


আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে অবস্থান জানাতে নির্দেশ, এই নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যও পরবর্তী শুনানিতে এ বিষয়ে তথ্য দেবে বলে জানান হয়। ২ মার্চ মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট সম্পর্কে নির্দেশ। ২০১৬-এর পর আবার ২ মার্চ একই ধরনের বিমান বিভ্রাট ঘটে। আইনজীবী বিপ্লব রায়চৌধুরী কলকাতা হাই কোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আবেদনে তিনি বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেও পৃথক ভাবে এই ঘটনার তদন্ত করা উচিত। আগেও এফআইআর করা হয়েছিল। মামলাকারীর আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা জানাক ডিজিএস। পরবর্তী শুনানি ২৫ এপ্রিল।


আরও পড়ুন, 'ভারতের নীতিকে স্যালুট করছি', ইমরান খানের গলায় ভূয়সী প্রশংসার সুর


অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে উত্তরপ্রদেশে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বারাণসী থেকে ফিরছিলেন মমতা। সেই সময়ই এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে হঠাৎ নেমে আসে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। তবে বিধানসভায় মমতা জানান, তাঁর বিমানের কাছাকাছি চলে এসেছিল অন্য বিমান। সংঘর্ষ এড়াতে আচমকা নামাতে হয় বিমানটিকে। প্রায় ৮ হাজার ফুট নামাতে হয় বিমানটিকে। অতি দক্ষতার সঙ্গে পাইলট তা করতে পারায়, বেঁচে যায় বিমান।           


বারাণসী থেকে ফেরার সময় মাঝ আকাশে মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট। এয়ার টার্বুল্যান্সে পড়ে একধাক্কায় কয়েক হাজার ফুট নীচে নেমে আসে বিমান। ক্ষুব্ধ হন মুখ্যমন্ত্রী। পরিষ্কার আকাশ, তাও হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর বিমান-বিভ্রাটে আতঙ্ক। যাত্রীদের মধ্যে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। আবহাওয়ার কারণ দেখিয়েছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।