হাওড়া: হাওড়ার মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের (Manglahaat Fire Update) ঘটনায় কলকাতা থেকে একজনকে গ্রেফতার করল সিআইডি। নিজেকে হাট মালিক বলে দাবি করতেন ধৃত শান্তিরঞ্জন দে।


অগ্নিকাণ্ডে গ্রেফতার করল সিআইডি: ২০ জুলাই, গভীর রাতে মঙ্গলাহাটে আগুন লাগে। চার হাজারের বেশি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ২১ জুলাই হাট পরিদর্শন করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তদন্তে নেমে তথ্য সংগ্রহ ও একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর গতকাল রাতে কলকাতার ক্যানিং স্ট্রিট থেকে শান্তিরঞ্জন দে-কে গ্রেফতার করে সিআইডি। আগুন লাগার দিনই হাট মালিকদের একটা বড় অংশ অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে অন্তর্ঘাত এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তাঁরাই শান্তিরঞ্জনের নাম সামনে আনেন। ধৃতের বিরুদ্ধে আগুন লাগানোর ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে সিআইডি। 


গত ২১ জুলাই বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ক্ষতিগ্রস্ত মঙ্গলাহাট পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। জেলাশাসকের নেতৃত্বে সেই কমিটি কাজ  করে। আগে ঠিক হয়েছিল হাটের যে অংশ পুড়ে গিয়েছে, সেখান থেকে যাবতীয় জঞ্জাল সরিয়ে দেওয়া হবে যাতে জুলাইয়ের শেষ থেকেই ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা ফের বিক্রিবাটা শুরু করতে পারেন। কিন্তু সোমবার পরে ব্যবসায়ীরা এসে দেখেন, জঞ্জালের স্তুপ এখনো সরানো হয়নি। সেই কারণে ব্যবসায়ীদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। ৩১ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে তিনি জানান পর্যায়ক্রমে হাট শুরু হওয়ার দিনক্ষণ। 


মঙ্গলাহাটে আগুন লাগার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে কীভাবে আগুন লাগল ? দুর্ঘটনা না কি চক্রান্ত? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা  দাবি করেন, হাটের মালিক শান্তিরঞ্জন দে ছোট দোকানগুলি ভেঙে বহুতল তৈরি করতে চাইছিলেন। তা করতে না পারায়, আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যবসায়ীদের দাবি অগ্নিকাণ্ডের আগে বিভিন্ন জায়গায় কেরোসিন তেল ঢালা হয়েছিল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তে দাবি ছিল, ব্যবসায়ীদের সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।                                        


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: Traffic Advisory: পথ দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর জের, পণ্যবাহী যান চলাচলের সময় বেঁধে দিল কলকাতা পুলিশ