সুনীত হালদার,হাওড়া: শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর মৃত্যু (Housewife Death) ঘিরে উত্তেজনা হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের হাটাল পাত্র পাড়ায়। রবিবার দুপুরে বছর আঠেরোর গৃহবধূ মধু পাখিরার ঝুলন্ত দেহ তার পরিবারের লোকজন দেখেন।এরপর তার দেহ রাস্তায় ফেলে শশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় গ্রামবাসীরা মৃতদেহ (Dead body) ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এরপর উত্তেজিত জনতা বাড়ি ভাঙচুর করেন । ঘটনাস্থলে ছুটে আসে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ (Jagatballavpur Police Station)।
পুলিশকেও মৃতদেহ উদ্ধার করতে বাধা দেওয়া হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর মাস ছয়েক আগে ওই গ্রামের যুবক সুরজিৎ পাখিরা একই গ্রামের মেয়ে মধুকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মধুর ওপর অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ। অনেক সময় অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সে বাপের বাড়িতে চলে আসত। কিছুদিন আগে শশুর বাড়িতে ঝামেলার পর সে বাপের বাড়িতে ফিরে এসেছিল। কিন্তু সে ফের শ্বশুরবাড়িতে ফিরে যায়। তারপরই আজকের ঘটনা। মধুর বাপের বাড়ির পরিবারের লোকজনের অভিযোগ মধুকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর স্বামী-সহ তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে জগৎবল্লভপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী নামানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, ভোরে হালকা শীতের আমেজ, আজ কেমন আবহাওয়া দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ?
গতবছর অগাস্টে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার এক গৃহবধূর। যদিও খুনের অভিযোগে আটক হন স্বামী,শ্বশুর ও ননদ। লেকটাউনের (lake town) দক্ষিণদাঁড়ির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের একাধিক জায়গায় আঁচড় ও আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল। পুলিশ জানায় সেসময়, ওই গৃহবধূর নাম পায়েল রায়। সন্ধেবেলায় ঘটনাটি ঘটে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, জামাই ও শশুড়বাড়ির লোকজন মিলে খুন করেছে মেয়েকে। পায়েলের মায়ের দাবি, জামাই সন্দেহবাতিক। মেয়েকে সন্দেহ করতেন। এর আগেও এই নিয়ে মারধর করেছেন। এবার খুন, অভিযোগ পরিবারের। লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিল মৃতার পরিবার। যদিও স্বামীর পাল্টা দাবি, স্ত্রীর একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। । সেই নিয়ে ঝামেলাও হত দুজনের। এই নিয়ে অশান্তি হয়। সন্ধ্যাবেলায় তিনি যখন বাথরুমে, তখনই সম্ভবত আত্মঘাতী হন পায়েল, দাবি সুমনের। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী, শ্বশুর ও ননদকে রাতে লেকটাউন থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।