সুনীত হালদার, হাওড়া : জামাইষষ্ঠী। জামাইদের দিন। বিশেষ এই দিনটার কথা উঠলেই যেটা প্রথমেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হল, জামাইদের পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করেন শাশুড়িরা। রকমারি পদের আয়োজনে কোনও খামতি থাকে না। স্নেহ-ভালবাসা আর ভূরিভোজের মধ্যে দিনটা কেটে যায় জামাইদের। পাতে এত পদ থাকে যে কোনটা খাওয়া যায়, কোনটা ছাড়া যায়, তা ভাবতে ভাবতেই সময় পার হয়ে যায় অনেক জামাইয়ের। তবে, যা-ই হোক বাঙালি জামাইয়ের পাতে ইলিশ মাছ থাকবে না তা কি হতে পারে ? একদমই না। কাল, বুধবার জামাইষষ্ঠী। আর তাই এদিন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বাজারে ভিড় ধরা পড়ল। আর হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে হরেক রকম ইলিশের চাহিদা উঠল তুঙ্গে।
ফি বছর জামাইষষ্ঠীর আগে ইলিশের চাহিদা বাড়ে। ব্যতিক্রম নয় এ বছর। শ্বশুর-শাশুড়িরা জামাইকে আপ্যায়ণের জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করেন। আর জামাইয়ের জন্য স্পেশাল ডিশে নানা ধরনের ইলিশের আইটেম থাকতেই হয়। ইলিশ ভাজা, ইলিশের পাতুরি, ইলিশের টক, ভাপা ইলিশ আরও কত কি !
এবারে ইলিশের চাহিদার কথা ভেবে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের পাশাপাশি মায়ানমার থেকেও ইলিশ আমদানি করেছেন। হাওড়া মাছ বাজার থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে কলকাতা এবং হাওড়ার সবকটি বড় বাজারে। ৭০০ গ্রাম থেকে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ দেদার বিক্রি হয়েছে। কলকাতার খুচরো মাছ ব্যবসায়ীরা সকাল থেকেই ভিড় জমান হাওড়া মাছ বাজারে। তাঁরা জানান, এবারেও ইলিশ মাছের চাহিদা বেশ ভাল।
হাওড়া মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের টাটকা ইলিশের দাম একটু বেশি। এক কিলো সাইজের ইলিশ এই বাজারে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। খুচরো বাজারে কিলো প্রতি তা ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা দরে বিক্রি হবে। মায়ানমারের ইলিশ তুলনায় একটু কম দাম। এক কিলো সাইজের ইলিশ ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। খুচরো বাজারে তা ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাতেও কুছ পরোয়া নেই ক্রেতাদের। তাঁরা হাসিমুখে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। ইলিশ বলে কথা !
আরও পড়ন ; কীভাবে ষষ্ঠীর সঙ্গে জুড়ে গেল জামাইদের মঙ্গল ভাবনা? কোন মুহূর্তে বাটা দেওয়া সবচেয়ে শুভ?
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।