হাওড়া: আজ মহাঅষ্টমীর সকালে বেলুড় মঠে (Belur Math) কুমারী পুজো শুরু। ইতিহাস, ঐতিহ্যের কুমারী পুজো বেলুড় মঠে। দেবীকে মৃন্ময়ী রূপে আরাধনার পাশাপাশি কুমারীর মধ্যে মাতৃরূপ দর্শন, এই প্রথা মেনেই প্রতিবারের মতো এবারও বেলুড় মঠে কুমারী পুজোর (Kumari Puja) আয়োজন করা হয়েছে৷
আজ মহাঅষ্টমীর সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় কুমারী পুজো৷ বেলুড় মঠে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কুমারীপুজো। এরপর মণ্ডপে মণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, মাইকে স্তোত্রপাঠ৷ তাই শুনে শুনেই কারও বা মনে মনেই অঞ্জলি দেওয়া৷ দুপুর পেরোলেই সন্ধিপুজো। অষ্টমী পেরিয়ে নবমীতে প্রবেশ। হাতে আর মাত্র ২দিন৷ তাই উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম-সর্বত্রই উত্সবের আনন্দের ঢেউয়ে গা ভাসাতে তৈরি সবাই। বেলা বাড়তেই সঙ্গে সঙ্গেই মণ্ডপে মণ্ডপে বাড়বে রঙিন জামা-কাপড়ে সাজা মানুষের ভিড়। বড়দের হাত ধরে ভিড়ের মাঝে কচি-কাঁচারাও৷ শুধু তো ঠাকুর দেখা নয় সঙ্গে দেদার আড্ডা, খাওয়া দাওয়া৷ নবমী নিশি ফুরোলেই তো পুজো শেষ। তাই মন খারাপ করা নবমীর আগে উত্সবের সুরে ভাসতে তৈরি তিলোত্তমা৷ গত দু’বছর করোনার কারণে বন্ধ থাকলেও, এবছর ফের কুমারী পুজো হচ্ছে জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে। প্রথা মেনে আজ ঠিক সকাল ৯টায় কুমারী পুজো শুরু হবে। তবে এবার দর্শকদের সামনে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। দূর থেকেই কুমারী পুজো দেখবেন দর্শনার্থীরা। পাশাপাশি আশ্রম চত্বরে কোভিড বিধি মেনে চলার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আরও দেখুন, ২০০ বছরের প্রাচীন হাওড়ার বসু পরিবারের পুজো আজও অমলিন
প্রসঙ্গত, রাজ্যে তিন দফার কোভিডে কম ঝড় যায়নি বাংলার এই পবিত্রভূমিতেও। কোভিড বিধি মেনে চললেও শেষ অবধি, এখানের অনেকেই কোভিডে আক্রান্ত হন। কোভিড বিধি মেনে এখানে দর্শক প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। পরে প্রবেশ অবাধ করলেও, কোভিড বিধি বাধ্যতামূলক করা হয়। তার উপর এখন দোসর ডেঙ্গি। তবে জমা জল নিয়ে সতর্ক বেলুড় প্রশাসন। তার উপর এখন, দুর্গা পুজো বলে কথা। এসময় গঙ্গার পাড়ে প্রকৃতি অন্য কথাই বলে। ভোর থেকেই মনোরম পরিবেশ এখন বেলুড়ে। ফুলে ফুলে শোভিত চারিপাশ। প্রতিবছরের মতো নিয়ম মেনে বেলুড় মঠে জন্মাষ্টমী তিথিতে, প্রথা মেনে অগাস্টেই দুর্গা প্রতিমার কাঠামো পুজো হয়। মূলত, ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা অষ্টমীতে মথুরার কারাগারে জন্ম নিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ ৷ সেই পূণ্য তিথির স্মরণে এই দেশে মহাআড়ম্বরে পালিত হয় জন্মাষ্টমী ৷ আর সেই তিথিতেই অফিসিয়ালি দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে যায়। প্রতি বছর দুর্গা প্রতিমার বিসর্জনের পর কাঠামো তুলে এনে রাখা হয়। তারপর জন্মাষ্টমীর দিনই পুজো করা হয় সেই কাঠামো। সেইমতো মন্দিরে মঙ্গলারতির পর কাঠামো পুজো করা হয়। সেইসঙ্গে শুরু হয় মণ্ডপ তৈরির কাজ। ফলে বেলুড় মঠে দুর্গাপুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছিল গত মাসেই।