সুনীত হালদার, ডোমজুড় : রাস্তার ধারে দাঁড়িয়েছিল। ভোররাতে আচমকা আগুন ধরে গেল মোবিল ভর্তি একটি ট্রাকে। ডোমজুড়ের জঙ্গলপুর শিল্পতালুকের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটে। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে ট্রাকটি। ঘটনায় জেরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডোমজুড় থানার পুলিশ। পুলিশ থেকে দমকলে খবর দেওয়া হলে একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৫টি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নিভে গেলেও ট্রাকটি ভস্মীভূত হয়ে যায়।
চালক জানিয়েছেন, খিদিরপুর থেকে মোবিলবাহী ট্রাকটি তিনি জঙ্গলপুরের একটি গোডাউনে নিয়ে এসেছিলেন। গোডাউনের দরজা বন্ধ থাকায় রাস্তার ধারে ট্রাকটিকে দাঁড় করিয়ে তিনি চা খেতে গিয়েছিলেন। হঠাৎই লক্ষ্য করেন, চালকের কেবিন থেকে আগুন বের হচ্ছে। কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দমকল কর্মীদের প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন। আজ সকালেও ট্রাক থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। স্থানীয় মহিলাদের ড্রাম থেকে মোবিল সংগ্রহ করতে দেখা যায়।.
চলন্ত গাড়িতে আগুন লাগার নজির এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক জায়গায় দেখা গেছে। চলতি বছরে জানুয়ারি মাসে একেবারে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীবাহী গাড়িতে লাগল আগুন লেগে যায়। ঘটনার জেরে শোরগোল পড়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিল দাসপুরের একটি বেসরকারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। ঠিক সেই সময় দাসপুরের ঝুমঝুমি গ্রামীণ রাস্তায় মেলা ছিল খড়কুটো। খড়কুটোর উপর দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় তাতে আগুন লেগে যায়। এরপর গাড়ির চালক প্রথমে গাড়িটিকে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে নামানো হয় গাড়ির ভেতরে থাকা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের। গাড়িটি একেবারে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু না হলেও, গাড়িটি পুরোপুরি পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
২০২২ সালে চলন্ত গাড়িতে আগুন লেগে ভস্মীভূত হয়ে যায় একটি চার চাকা গাড়ি। হুগলির বলাগড় থানার সোমড়াবাজার বাসস্ট্যান্ডে অসম লিঙ্ক রোডে ঘটনাটি ঘটেছিল। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহর থেকে পূর্ব বর্ধমানের কালনা যাচ্ছিল গাড়িটি। গাড়িতে ৫ জন যাত্রী ছিলেন। কালো ধোঁয়া দেখে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে দেন চালাক। তখনই আগুন ধরে যায় মারুতি ওয়াগন আর গাড়িটিতে। যাত্রীদের মধ্যে একজন আহত হন। ঘটনাস্থলে কিছুক্ষণের মধ্যেই পৌঁছে যায় বলাগড় থানার পুলিশ। স্থানীয়রা বালি ও জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে বাঁশবেড়িয়া থেকে একটি দমকল গিয়ে আগুন নেভায়।