সুনীত হালদার, হাওড়া: শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটে (Shibpur Ramkrishnapur Ghat) পা রেখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ (Swami Vivekananda)। সেই পদার্পণকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিলেন শহরের নাগরিকরা। তৈরি হবে বিশেষ তোরণ। আর তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হল আজ।
স্বামীজির পদার্পণকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ উদ্যোগ
শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাটে স্বামীজির পদার্পণকে স্মরণীয় করে রাখতে তোরণ নির্মাণের উদ্যোগ নিলেন শহরের নাগরিকরা। বৃহস্পতিবার সেই তোরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
১৮৯৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি, মাঘী পূর্ণিমার দিনে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠ থেকে নৌকায় চেপে শিবপুর রামকৃষ্ণপুর ঘাটে আসেন। এরপর তিনি ভক্তদের নিয়ে পায়ে হেঁটে পৌঁছন শ্রীরামকৃষ্ণপুর লেনের নবগোপাল ঘোষের বাড়ি। সেখানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। স্বামীজির ওই বাড়িতে ১২৫ বছর আগে পদার্পণের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজও ঘোষ বাড়িতে মহাসমারোহে দিনটি পালন করা হয়। শোনা যায়, স্বামীজি নিজের মাথার পাগড়ি ওই বাড়িতে দান করে যান। আজও ঘোষ বাড়িতে পরম যত্নে ওই পাগড়িকে পুজো করা হয়।
আজ স্বামীজির পদার্পণের দিনটিকে কেন্দ্র করে 'রামকৃষ্ণ স্বামীজি স্মৃতি সঙ্ঘ' ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে রামকৃষ্ণপুর ঘাটের কাছে একটি তোরণ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এই কাজের শিলান্যাস করেন রামকৃষ্ণ মঠ এবং মিশনের সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায়।
এদিন স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন, 'স্বামীজি হাওড়াকে তাঁর কর্মস্থল হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। বেলুড় মঠকে তিনি গোটা কর্মকাণ্ডের নার্ভ সেন্টার হিসেবে তৈরি করেছিলেন। ১২৫ বছর আগে এই মাঘী পূর্ণিমার দিনেই ঘোষ বাড়িতে বসে স্বামীজি তাঁর বিখ্যাত প্রণাম মন্ত্র তৈরি করেন। যা শিষ্যরা আজও ভক্তি ভরে উচ্চারণ করেন। তাই আজকের দিনটার গুরুত্ব অপরিসীম।' মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, 'স্বামী বিবেকানন্দের চিন্তা এবং ভাব আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে তাঁরা কাজ করছেন। কথায় বলে গঙ্গার পশ্চিমকূল বারাণসীর সমতুল্য। আমরা ভাগ্যবান এখানে বসবাস করি। তিন মাসের মধ্যে এই তোরণ তৈরির কাজ শেষ হবে।' তিনি চান স্বামীজির পদধূলি পড়ার জন্য এই স্থান এক তীর্থক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠুক।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।