কলকাতা: প্রথম এই খবরই যেন ছিল যাবতীয় জল্পনার সূত্রপাত। গত কয়েকদিন ধরে অভিনেতা-সাংসদ দেবকে নিয়ে যে গুঞ্জন, জল্পনা শুরু হয়েছিল, তার সূত্রপাত ছিল এই ৩টি ইস্তফাপত্র নিয়ে। কয়েকদিন আগেই রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি, ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ ছাড়েন দেব। আর আজ, সংসদে ভাষণের পরে, পদ ছাড়া নিয়ে এবিপি আনন্দে মুখ খুললেন দেব। 


শোনা যাচ্ছে, দেবের হঠাৎ এই ৩টি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কারণ নাকি আর্থিক দুর্নীতি। এই ইস্যুতেই আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ থাকার কারণেই পদ ছেড়েছেন দেব। তবে আজ, এবিপি লাইভকে দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে দেব বলেন, 'ঘাটাল কলেজের আমি সভাপতি ছিলাম দেড় বছর। তার আগে, ছাত্রীদের কলেজে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাটা ছিল মাত্র ১৫ শতাংশ। আমি আসার পর থেকে, যৌথ উদ্যোগে সেটা ৬৫ শতাংশ হয়েছে। অর্থাৎ মেয়েরা নিরাপত্তা পাচ্ছে। আগে কলেজে প্রাক্তন ছাত্ররা আসত, সন্ধের পরে পাওয়া যেত মদের বোতল। আমি সমস্ত বন্ধ করে দিয়েছি। বলেছি কলেজ বন্ধ হয়ে গেলে কেউ দেখতে আসবে না। কলেজের পরিবেশের উন্নতি হয়েছে। তার জন্য আমি কৃতিত্ব দেব ওখানকার ছাত্রছাত্রী, প্রফেসর ও অন্যান্য কর্মীদের। কিন্তু এগুলো যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে, হ্যাঁ আমি দুর্নীতি করেছি।'


এখানেই থামলেন না দেব.. তিনি আরও বলে চললেন, 'ঘাটাল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলাম আমি। সেটাও মাত্র দেড় বছর। শুনলাম সেখানেও নাকি আমি দুর্নীতি করেছি। ওখানে আগে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হত রোগীদের। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পরে ওখানে অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসেছে। পাইপের মাধ্যমে এখন অক্সিজেন যায়। এটা যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে... হ্যাঁ আমি দুর্নীতি করেছি।'


অন্যদিকে আজ, ভাইরাল অডিও ক্লিপ নিয়ে এবিপি আনন্দকে দেব বলেছেন, ''কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে, আমি টাকা নিয়েছি, শুধু রাজনীতি নয়, ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেব। কিন্তু যাঁরা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, প্রমাণ না করতে পারলে, তাঁরা কি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন?' সেইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, 'আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব, কিন্তু আমার মনে হয় না, কোনও দলে যোগ দিতে পারব', জল্পনা উস্কে দিয়ে মন্তব্য ঘাটালের তৃণমূল সাংসদের। 


আরও পড়ুন: Dev on Politics: 'সংসদে আজ আমার শেষদিন..' দেবের পোস্টে কি রাজনীতি ছাড়ার ইঙ্গিত?