সুনীত হালদার, হাওড়া : রাজ্যে ক্রমবর্ধমান নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে ভবানী ভবনের এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। সোমবার সকালে মধ্য হাওড়ার ব্যাঁটরা বাজারে হানা দেন ইডি-র আধিকারিকরা। ওই বাজারের বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
বিক্রেতারা ওই আধিকারিকদের জানিয়েছেন, পেট্রোল ও ডিজেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি অতিবৃষ্টিতে সবজি এবং অন্যান্য ফসল মাঠে নষ্ট হয়ে গেছে। সেই কারণে পাইকারি বাজারে মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি এইসব খুচরা বাজারেও সবজি ও অন্যান্য ফসলের দাম বেড়েছে। কাঁচা আনাজ বেশি দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুন ; সাত জেলায় ডিজেলের সেঞ্চুরি, দড়ি দিয়ে বাস টেনে প্রতিবাদ মালিক সংগঠনের
এদিকে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়েছেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ। তাঁরা জানিয়েছেন, দাম বৃদ্ধির ফলে তাঁরা চরম সঙ্কটে পড়েছেন। ইডির আধিকারিক জানিয়েছেন, বাজারে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে অন্যান্য বাজারের সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির হার প্রায় একই। বিক্রেতারা জানিয়েছেন শীত পড়লে কাঁচা শাক সবজির দাম কমতে পারে।
সম্প্রতি সল্টলেকের বিভিন্ন বাজারেও এনফোর্সমেন্ট বিভাগের আধিকারিকরা হানা দেন। মূল্যবৃদ্ধি ও কালোবাজারি রুখতে হানা দেন তাঁরা। ব্যারাকপুরের বাজারেও চলে অভিযান। বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিই দাম বাড়ার কারণ, দাবি ব্যবসায়ীদের।
আরও পড়ুন ; কালোবাজারি রুখতে সল্টলেক-ব্যারাকপুরের বাজারগুলোতে ইবি-র অভিযান
এদিকে এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাত জেলায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে ডিজেল। কলকাতায় সেঞ্চুরি শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রতিবাদে দড়ি দিয়ে বাস টেনে পরিবহণ ক্ষেত্রের সঙ্কটকে তুলে ধরে বাসমালিক সংগঠন। উত্তরের দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামে এখন এক লিটার ডিজেল কিনতে গেলে গুনতে হবে ১০০ টাকার বেশি! কলকাতায় যদিও ডিজেলের দাম এখনও খাতায় কলমে নার্ভাস নাইনটিতে। রবিবার লিটারে ৩৫ পয়সা বেড়ে, ডিজেলের দাম ১০০-র দোরগোড়ায়।