সুনীত হালদার, হাওড়া: সাকরাইল (sankrail) থানার অন্তর্গত চুনাভাটি এলাকায় গৃহবধূকে মারধর করে দুঃসাহসিক ডাকাতির (decoity) ঘটনা ঘটেছিল গত ২০ জানুয়ারি। এই ঘটনায় দুষ্কৃতীরা (Mischief) এখনো অধরা। তবে তাদের চিহ্নিত করতে এবার স্কেচ আঁকালো পুলিশ। নির্যাতিতা গৃহবধূর কাছে দুষ্কৃতীদের বর্ণনা শুনে দুই দুষ্কৃতীর স্কেচ আঁকায় পুলিশ। বিভিন্ন থানায় এই স্কেচ পাঠিয়ে অপরাধীের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।


উল্লেখ্য, ডাকাতি (Decoity) করে খুনের চেষ্টা (Murder Attempt) করা হয়েছিল সেদিন। গত ২০ জানুয়ারি বিকালে ঘটনাটি ঘটে হাওড়ার (Howrah) সাকরাইলের (Sankrail) চুনাভাটি এলাকায়। টুম্পা নস্কর নামে বছর তেইশের এর এক গৃহবধূ বাড়িতে একাই ছিলেন। সেই সময় দু'জন জলখাবার নাম করে ঘরে ঢোকে। এরপর অস্ত্র দেখিয়ে নগদ টাকা এবং গয়না লুট করে। যাওয়ার আগে ওই দু'জন দুষ্কৃতী মহিলার পেটে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় মহিলাকে ভর্তি করা হয় এক বেসরকারি হাসপাতাল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ।


জানা গেছে, ঘটনার দিন বিকেলে দুজন এসে ওই মহিলার কাছে জল চায়। গৃহবধূ জল আনতে বাড়িতে ঢুকলে তাঁর পিছনে দুষ্কৃতীরাও ঢুকে পড়ে। এরপর স্বমূর্তি ধারণ করে লুঠপাঠ চালাতে শুরু করে। মহিলাকে ভয় দেখাতে তাঁকে অস্ত্র দেখানো হয় বলে অভিযোগ। গলায় ছুরি ধরে তাঁর, হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়। এরপর লুঠপাঠ চালিয়ে যাওয়ার আগে গৃহবধূর পেটে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়।  এরফলে জখম হন ওই গৃহবধূ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 


এদিকে, একই দিনে হাওড়ার ডোমজুড় থানা এলাকার আলমপুরে পানশালায় শ্যুটআউট।  সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বেপরোয়া দুষ্কৃতীদের হামলার ছবি। পুলিশ সূত্রে খবর, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ওই পানশালায় গতকাল রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হানা দেয় চার দুষ্কৃতী। অভিযোগ, পানশালায় ঢুকে ক্যাশবাক্স থেকে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। ছিনিয়ে নিতে যায় মদের বোতল। এক কর্মী বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা ২ রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিতে আহত ওই কর্মীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরপর দুষ্কৃতীরা গাড়িতে চম্পট দেয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, লুঠপাটের উদ্দেশ্যেই সম্ভবত হানা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা।


আরো পড়ুন: নেই স্থায়ী ঠিকানা, তাই শিবিরই ভরসা, হাওড়ায় ফুটপাতবাসীদের টিকাকরণ শুরু