অবশেষে স্বস্তি। লম্বা জার্নি থেকে এবার একটু মুক্তি। কয়েক ঘণ্টা কম সময়েই এবার বাঁকুড়া থেকে সরাসরি হাওড়া পোঁছনো যাবে মসাগ্রাম হয়ে। দূরত্ব ও সময় কমবে পুরুলিয়া থেকে হাওড়া যাত্রারও। মসাগ্রাম স্টেশনে মিশে যাচ্ছে পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এই রুটে যাত্রা করার ফলে প্রায় ৩৫-৪০ কিলোমিটার পথ কমে যাবে হাওড়া ও পুরুলিয়ার মধ্যে। কাজ শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। অবশেষে  ২৮ জুন শনিবার, হাওড়া থেকে মসা গ্রাম হয়ে পুরুলিয়া পর্যন্ত ট্রেন চালু হতে চলেছে, জানিয়েছে রেল।  পুরুলিয়া-হাওড়া ভায়া মসাগ্রাম নতুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস  চালুর খবরে খুশি বাঁকুড়া, বর্ধমানের রেলযাত্রীরা। শনিবার  রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সাঁতরাগাছিতে ওই ট্রেনে উদ্বোধন করবেন বলে খবর। 

অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময়ে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই বিষয়টির উদ্যোগ নেন বলে দাবি তৃণমূলের। এদিকে আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খান বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই তিনি  বাঁকুড়া থেকে হাওড়া পর্যন্ত একটি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার বিষয়ে বারবার রেলমন্ত্রকের কাছে আর্জি জানিয়ে আসছেন। রেল সূত্রে খবর,মসাগ্রাম হয়ে পুরুলিয়া ও হাওড়ার মধ্যে চানু হচ্ছে ইন্টারসিটি ট্রেন।  হামিরহাটি, সোনামুখী, ধনসিমলা, ধগাড়িয়া, পত্রসায়ের, বেতুর, কুমরুল, ইন্দাস, শাঁকরুল, সাহসপুর রোড, বোয়াইচণ্ডী, গুইর সুরাঙ্গা, কল্যার, সেহরা বাজার, গোপীনাথপুর, শ্যামসুন্দর, রায়নগর, বোকরা, মাঠনশীপুর, বেরুগ্রাম, গ্রামদাদপুর, হাবাসপুর ও মুস্তাফা চক স্টেশনে থামবে ট্রেনটি। এই নতুন মেমু ট্রেনটি  নিয়মিতই চলবে। ৩০ জুন, সোমবার হাওড়া থেকে ৬৮১২১ হাওড়া-পুরুলিয়া মেমু প্যাসেঞ্জার  ট্রেনটি ছাড়বে। আবার ১ জুলাই পুরুলিয়া থেকে ছাড়বে ৬৮১২২ পুরুলিয়া-হাওড়া মেমু প্যাসেঞ্জার । এই ট্রেন চালু হলে উপকৃত হবেন বাঁকুড়ার ইন্দাস এবং সোনামুখীর মানুষরা। 

রেলসূত্রে খবর,  ট্রেনটি ভোর ৪টেয় পুরুলিয়া স্টেশন থেকে ছাড়বে। আদ্রা, বাঁকুড়া, মশাগ্রাম হয়ে বেলা ১১টা ৪০মিনিটে হাওড়ায় পৌঁছবে। আবার বিকেল ৪টে ১৫মিনিটে হাওড়া থেকে পুরুলিয়ার উদ্দেশে রওমা দেবে ট্রেনটি। পুরুলিয়া পৌঁছবে রাত ১১টা ৫৫মিনিটে ।