সঞ্চয়ন মিত্র, সুনীত হালদার ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, হাওড়া : হাওড়ার শিবপুরে ( Howrah Shibpore )  রামনবমীর মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে নাচানাচির ঘটনায় আরও ২ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মূল অভিযুক্ত সুমিত সাউকে ( Sumit Saw ) আগেই বিহারের মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এবার গ্রেফতার হলেন সুমিতের দুই সঙ্গী অবিনাশ যাদব এবং আরিয়ান গুপ্ত। এই নিয়ে যখন বঙ্গ রাজনীতি, তৃণমূল নানা ছবি পোস্ট করে প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সুমিতের সম্পর্কের বিষয়টি, তখনই ধৃত সুমিতের মা অবাক করা দাবি করলেন। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে কোনও দল করে না! তৃণমূল-বিজেপি সব দলের হয়েই কাজ করত। 


আগ্নেয়াস্ত্রটি কোথায়


বৃহস্পতিবার, হাওড়ার শিবপুরে অশান্তির ( Shibpur Violence )  ঘটনার পর, এই তরুণের এই ছবিই ট্যুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে, রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পুলিশ দাবি করে, হাওড়া থেকে বিহারের মুঙ্গেরে পালানোর আগে, আগ্নেয়াস্ত্রটি হাওড়ার ফকিরবাগানের বাসিন্দা অবিনাশ যাদবের কাছে রেখে যায় সুমিত। পরে সেটি নন্দীবাগানের বাসিন্দা আরিয়ান গুপ্তকে দেন অবিনাশ। 


'কেউ ছবি করে থাকতে পারে'


রাজ্য বিজেপি নেতা ওমপ্রকাশ সিংহর সঙ্গে সুমিত সাউয়ের এই ছবি প্রকাশ্যে এনে, গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করছে তৃণমূল। এদিন, অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা, ধৃত সুমিতের সঙ্গে তৃণমূলের যোগের অভিযোগ করেছেন ওমপ্রকাশ সিংহ। তিনি বলেন, '২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত আমি হাওড়ার যুব মোর্চার সভাপতি ছিলাম, কেউ ছবি করে থাকতে পারে। তৃণমূলের হাত রয়েছে, বিধায়কের হাত রয়েছে। ওটা তৃণমূলের হিন্দি সেলের মিছিল কি না, সেটাও দেখতে হবে।'  


বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ট্যুইট করে বলেছেন,  সুমিত সাউয়ের মা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ছিল এবং তাঁদের কর্মসূচিতে যেত। 


তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী বলেছেন, ' বিজেপি কী বলছে যায় আসে না, সব বুথের কর্মীকে আমি চিনি, কেউ অস্ত্র নিয়ে মিছিলে যাবে, সেটা আমি জানব না এটা হয় না। ও বিজেপির কর্মী, তৃণমূলের কেউ নয়। ' 


সুমিত সাউয়ের মায়ের দাবি, ' আমার ছেলে নির্দোষ, ও কোনও রাজনীতি করত না। তৃণমূল-বিজেপি সব দলের হয়ে কাজ করত। খালাসির কাজ করে। ওকে ফাঁসানো হয়েছে। ও কোথা থেকে অস্ত্র পেল জানি না। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর সঙ্গেও থাকে। ' 


শিবপুরে অশান্তির ঘটনায়,  এখনও পর্যন্ত ৪১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর, অস্ত্রকাণ্ডে ধৃতদের ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।