ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের (Drinking water) সঙ্কটে ভুগছেন হাওড়ার (Howrah) বেলুড়ের (Belur) বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। জলের দাবিতে অবরোধ করার পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। কোথায় সমস্যা তা খতিয়ে দেখলেন কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। এক সপ্তাহের মধ্যেই জল-সমস্যা মিটবে, আশ্বাস দিলেন পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য।


জলপ্রকল্প আছে, অথচ দিনের পর দিন সেই জল নিয়েই হাপিত্যেশ বেলুড়ের বিস্তীর্ণ এলাকায়। অনুরোধ-উপরোধে কাজ না হওয়ায় শেষপর্যন্ত দাবি পূরণে পথে নামতে বাধ্য হলেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা। শনিবার রাতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। 


স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘পুরসভা থেকে যে জল সরবরাহ করা হয়, তা খাওয়ার অযোগ্য। বেলুড় মঠের (Belur Math) জল থাকাতেই বেঁচে আছি।’


শ্যামসুন্দর সিংহ নামে এক জল বিক্রেতার অভিযোগ, ‘জল ঠিকমতো পাওয়া যায় না। মানুষ বাধ্য হয়ে জল কিনে খাচ্ছেন। আমরা বাড়ি বাড়ি জল সরবরাহ করি।’


আরও পড়ুন সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে বচসা-হাতাহাতি, বেলুড়ের লালবাবা কলেজে তুলকালাম


স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। রবিবার সকালেই এলাকার জলপ্রকল্পের সমস্যা খতিয়ে দেখতে হাজির হন কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। গঙ্গায় জলের স্তর কমে যাওয়া এবং বেশি পরিমাণে পলি জমাকেই দায়ী করেছেন তাঁরা। 


কলকাতা পুরসভার এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ মজুমদার জানিয়েছেন, ‘পলির সমস্যা তো আছেই। পাশাপাশি জল তোলার ৩টি মেশিনের মধ্যে একটি মেশিন আংশিক কাজ করছে। সেটিকে সারানো হবে। আশা করছি, এক সপ্তাহের মধ্যে সব মিটবে।’


হাওড়া পুরসভার পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য রেয়াজ আহমেদের দাবি, ‘পলি পড়ে যাওয়ায় এই সমস্যা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার যদি পলি তোলার কাজ ঠিকমতো করতো তাহলে এই সমস্যা হত না। এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা মিটবে।’


এক সপ্তাহের মধ্যেই জলের সমস্যা মেটানো হবে, আশ্বাস দিচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।


সবে গরম পড়তে শুরু করেছে। তাপমাত্রার পারদ যত চড়বে, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। দ্রুত জল সমস্যার সমাধান হোক, এখন এটাই চাইছেন এলাকার বাসিন্দারা।